গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ছিল প্রথম দিন। মুসল্লিদের সমাগমও ছিল অনেক। ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজ আদায় করেন লাখো মুসল্লি। পাশাপাশি গাজীপুর ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা বৃহত্তম এই জুমার জামাতে অংশ নেন। নামাজের আগে ময়দানের বাইরে অজুর পানি সংকট দেখা দেয়। এতে বোতলজাত পানি কিনে অজু করেন অনেকে। এ ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের বিনামূল্যে পানি দেওয়া হয়। তবে, ভ্রাম্যমাণ কিছু ব্যবসায়ী এক বদনা পানি ১০ টাকায় বিক্রি করেন মুসল্লিদের কাছে।
আজ দুপুরে জুমার নামাজের আগে ইজতেমার আশপাশে এমন চিত্র দেখা গেছে। কামারপাড়া সড়কে একটি কারখানার ফটকের সামনে ওই কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ফেরদৌস বালতিতে করে পানি এনে অজুর জন্য মুসল্লিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করছিলেন। তিনি জানান, গত দুই বছর যাবত তিনি ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের অজুর পানি সরবরাহ করে আসছেন। এ জন্য তিনি কোনো টাকা নেন না। এবারও পানি সরবারহ করতে দুটি নতুন বালতি, পাঁচটি মগ কিনেছেন। পানি টেনে আনা পরিশ্রমের কাজ হলেও মুসল্লিদের জন্য এ কাজ করে তৃপ্তি ও আনন্দ পান তিনি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্টেশন রোড এলাকায় মুসল্লিদের কাছে ১০ টাকা বদনা পানি বিক্রি করছিলেন মারফত আলী। তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় আমি রিকশা চালাই। ইজতেমায় টঙ্গী এলাকায় রিকশা চলাচল এক প্রকার বন্ধ থাকে। তাই অজুর পানি সরবরাহসহ মুসল্লিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে উপার্জন করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এক মহিলার মাধ্যমে দূর থেকে কলস দিয়ে পানি এনে ড্রামে মজুত করে তা মুসল্লিদের কাছে প্রতি বদনা ১০ টাকায় বিক্রি করছি।
পাশেই খোলা পানি বোতলজাত করে মুসল্লিদের কাছে বিক্রি করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি খোলা পানি দুই লিটার বোতল ভরে ২০ টাকা দরে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের কাছে বিক্রি করেন।
এদিকে, দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে জুমার জামাজ শেষ হয়। নামাজে ইমামতি করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি এবং কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের।
এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করছেন। চার দিন বিরতির পর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি।