মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

দেশের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার গুহায় নিমজ্জিত হয়েছে

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৯১ Time View

গত ৭ই জানুয়ারির একতরফা ও ভাগ বাটোয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে হাস্যরস ও সমালোচনা চলছে। আর সরকার নিজ দায়িত্বে প্রতিদিন সেটাকে প্রহসন ও সহিংসতার নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। ডামি প্রার্থী ও ডামি দল উৎপাদন করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, উপরন্তু তারা ডামি ভোটার সৃষ্টি করেও বিরোধী দলের ভোট বর্জনের আন্দোলনকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়ে এখন পাগলের মতো আচরণ করছে।
তারুণ্যের অহংকার দেশ নায়ক তারেক রহমানের ডাকে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবিরের অতি নগন্য শাহজাহান ওমরদের জনগণের বিরোধ্যে গিয়ে হালুয়া রুটির লোভ দেখিয়ে বাগিয়ে নিয়ে যে আতংক সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো তাও ব্যর্থ হলে গনতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সামনে দেশকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ তার মন্ত্রী সভার বেশিরভাগ সদস্যকেই বলতে শোনা যাচ্ছে পশ্চিমারা যদি ভিসা তথা বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয় তবে দেশের নয় পশ্চিমাদেরই ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তারাই তৈরী পোশাকের সংকটে পড়বে। যার ফলে তারাই পোশাকহীন হয়ে যাবে। অবৈধ সরকারের এই অর্থব্য মন্ত্রীদের কথার মাঝে লেজ কাঁটা শেয়ালের কথাটাই বেশি মনে পড়ে। সেই সাথে সাথে ছোটবেলায় পড়া সেই গল্পের কথাই বেশি মনে হচ্ছে…

শরীরের অর্গান বা অঙ্গগুলো একদিন চিন্তা করলো বেড়াতে বের হবে। কোথায় যাবে? রাত একটার সময় তারা রওনা হয় মস্তিষ্কের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে কে কী কাজ করে সে গল্প করা শুরু করলো। পা বলল, আমি এতো কষ্ট করি, কষ্ট করে হেঁটে খাবার খুঁজি। তারপর চোখ বলল, আমিও এতো কষ্ট করে দেখি, খাবার বেছে খাই।

এবার মস্তিষ্ক বলল, আমি এতো কষ্ট করে বুদ্ধি বের করে সবাইকে বাঁচিয়ে রাখি। তাদের সঙ্গে পাকস্থলী ছিল না। সবাই তখন বলে পাকস্থলী তো কিছুই করে না, খালি বসে বসে খায় আর আরাম করে। সবাই বলে এর একটা শাস্তি হওয়া উচিত। এ কথায় সবাই একমত হলো।

কিন্তু কী শাস্তি দেওয়া যায়? মস্তিষ্ক কিছুক্ষণ ভেবে বলল, আমরা তাহলে পাকস্থলীকে আর খাবার দেবো না। সবাই মস্তিষ্কের কথায় একমত হয়। এ খবর চলে যায় পাকস্থলীর কাছে। শুনে সে মুচকি মুচকি হাসে।

তিন-চারদিন কেটে গেলো। কেউ কোন কাজ করে না। পাকস্থলীকে খাবারও দেয় না। ফলে সবাই ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে লাগলো।

সেদিন রাতেই আবার সবাই বৈঠকে বসলো। ওই বৈঠকে পা বললো, এভাবে তো আর চলে না। আমি তো চলতে পারছি না। দুর্বল হয়ে পড়েছি। বাকিরা নিজেদের কষ্টের কথা বলতে থাকে।

তারপর সবাই নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। সবাই একমত হয়ে বলল, আমরা কেউই পাকস্থলীকে ছাড়া চলতে পারব না। আমরা আসলে একজনকে ছাড়া অন্যজন অচল।

মস্তিষ্ক সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলো, পাকস্থলী ছাড়া তাদের জীবন বৃথা। সুতরাং তাদের অবশ্যই পাকস্থলীকে পরিমাণ মতো খাবার দিতে হবে।

এই গল্পটি থেকে যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি তা হচ্ছে, ক্ষমতা থাকলেই সবার সাথে তা দেখাতে নেই। তাহলে নিজেদের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে।

এখন কথা হচ্ছে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো কেনো?

একটা দলের ক্ষমতার চেয়ারকে আঁকড়ে রাখার লোভ ও তার জন্য দেশের জনগণের মতামত অপেক্ষা করা, বিরোধী দলের উপর দমননীতি, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়করণ, আইনের শাসনকে বাধাগ্রস্ত করা, অন্যদের তাবেদারী করার মাধ্যমে নিজ দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া সহ বহু কারণ রয়েছে। যা বর্তমানের অবৈধ সরকারের দৈনন্দিন রুটিন ওয়ার্কে পরিণত করা হয়েছে।যার ফলস্বরূপ দেশের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার গুহায় নিমজ্জিত হয়েছে।

গত ১৪ এবং ১৮ এর নির্বাচন দেখেও যারা ৭জানুয়ারীর নির্বাচনের ব্যপারে কিছুটা দু-টানায় ভুগছিল তাদের কাছেও এখন স্পষ্ট এটা কোন নির্বাচনই ছিলো না,ছিলো একটা নৌকা বাইস মাত্র। এই বাইসের আগেও নৌকা আর পেছনেও নৌকা। শুধু পার্থক্য হচ্ছে নৌকার সামনে কেউ কেউ ট্রাক কিংবা ইগলের ছবি লাগিয়ে রেখে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যার জলন্ত উদাহরণ গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গং দের মতো ছদ্মবেশী লোকগুলো।

যাই হোক এখন আগামীর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে যারা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নিদর্শনা মেনে এই অবৈধ সরকারের বিরোধ্যে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে তারাই হবে আগামীর বাংলাদেশ কথাটা মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ,খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ – শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অমর হোক, তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে

সরকার শাহনূর ইসলাম রনি

গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল।।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
©ziacyberforce.com
themesba-lates1749691102