শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

গণতন্ত্র মঞ্চের সচিবালয় অভিমুখের বিক্ষোভে পুলিশের বাধা

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩
  • ১১০ Time View

লোডশেডিং, বিদ্যুৎ সংকট সমাধানসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা। দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

মিছিলে বাধা দেওয়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে এক দফা ধস্তাধস্তিও হয়। পরে তারা আব্দুল গনি রোডের জিরো পয়েন্ট মোড়ে বসে সমাবেশ শুরু করেন।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, এ দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

এ সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এ মুহূর্তে দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের পায়ের তলে মাটি নেই।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ বছর বাংলাদেশে যত মুদ্রার ঘাটতি দেখা গেছে তা গত কয়েক বছরে হয়নি। এ সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ পাবেন না, নিরাপত্তা পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। এ সরকারের যাবার সময় হয়েছে। এ সরকার হচ্ছে স্বৈরাচারী, বদমাশ, লুটপাটের সরকার। এ সরকার আগে আমাদের ভয় দেখাত। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কায়দা দেখাত। এজন্যই আমরা বলি, তোমাদের সময় হয়েছে, তোমরা এবার যাও।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে সাইফুল হক বলেন, গরিবকে আরও গরিব বানানোর প্রজেক্ট বর্তমান বাজেট। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ বলছি, এখনো আপনাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার একটি রাস্তা খোলা আছে। এখন পর্যন্ত সংকট সমাধানের রাস্তা খোলা আছে। এর মধ্যে যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তবে ঈদের পর গণতন্ত্র মঞ্চ আরও শক্তিশালী হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল অবস্থায় আছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীতে তারা কুপোকাত হয়েছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে সরকার যা করল; এখন বিদ্যুতের দাম কত কত হয়েছে তা আপনারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সমস্ত পণ্য তৈরি করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ফলে সব জিনিসের দাম বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংকটকে কাজে লাগিয়ে সরকার পয়সা হাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করছিল। এ পয়সা ১/২ পয়সা নয়, হাজার কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
©ziacyberforce.com
themesba-lates1749691102