বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার পিছনে যে কয়জন নিভৃতচারী ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন মরহুম আরাফাত রহমান কোকো তাদের অন্যতম, বাংলাদেশের ক্রিকেট কে ভালোবেসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তরুণ ক্রিকেটারদের বের করে আনার এইচপি ইউনিট, যে এইচপি ইউনিটের মাধ্যমে পরবর্তীতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক তারকা ক্রিকেটার বের হয়ে এসেছেন। একজন আরাফাত রহমান কোকো বুঝতে পেরেছিলেন ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে ক্রিকেটার তৈরির পাইপলাইনকে অনেক মজবুত করতে হবে, তা না হলে এ দেশের ক্রিকেট কখনোই শক্ত জায়গায় দাঁড়াতে পারবেনা। সেই উপলব্ধি থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এইচপি বা হাই পারফরমেন্স ইউনিট। যে এইচপি ইউনিটের কল্যাণে আজও বের হয়ে আসছে হাজার হাজার তরুণ ক্রিকেটার। আরাফাত রহমান কোকোর সেই অবদান বাংলাদেশের ক্রিকেটে আজও অম্লান হয়ে আছে। #মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেটকে নিয়ে আসার পিছনে মূল ব্যক্তি ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। আজকে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম তার হাত ধরেই হোম অব ক্রিকেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে রূপান্তর করার কারিগরও ছিলেন এই মানুষটি।
রাজনীতির সাথে না থেকেও দেশের ক্রিকেটের পিছনে যে অবদান রাখা যায় তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। ক্রিকেটকে অসম্ভব ভালোবেসে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য দিনরাত কাজ করতেন এই ক্রিকেট অনুরাগী মানুষটি। অথচ এখন ক্রিকেট বোর্ডের যারা নিয়ন্ত্রণে, তারা ক্রিকেটের থেকে বেশি ভালোবাসেন ক্ষমতাকে, নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।
রাজনীতি বিমুখ নিভৃতচারী এই #ক্রীড়া সংগঠকের ৫৪ তম জন্মদিনে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে জান্নাতবাসী করুন, আমীন।
লেখা: Robiul Islam Ripon