হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
আমার এক কথায় ইউএনও বদলী হন বান্দরবান। ডিসি আমার কাছে কিছুইনা। আমার সাথে রয়েছে বিচারপতিদের সম্পর্ক। তোকে দেখে নেব। টিসিবি ডিলারের জন্য আবেদনের পর তদন্তে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপর এভাবে ছাড়াও হন এক বিএনপি নেতা। ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরদ্দি ইউনিয়নের তমরদ্দি বাজারে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ৪২ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায় তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আব্দুল আলী বার বার উত্তেজিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে মারতে যান। এসময় তাকে উত্তেজিত ভাষায় গাল মন্দ করতে শুনা যায়। পাশে থাকা অনেকে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে এই কর্মকর্তাকে মাথা নিচু করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়।
জানা যায়, হাতিয়ায় টিসিবি ডিলারের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির পর অনেকে আবেদন করেন। তমরদ্দি ইউনিয়নে আবেদন করেছে ২০জন। তমরদ্দি ইউনিয়নের এই ২০ জনের আবেদন যাচাই বাচাই করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা সমাজমেবা কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেনকে। তদন্ত কর্মকর্তা অন্যান্য আবেদন যাচাই করতে মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে আব্দুল আলীর আবেদনকৃত ঘর দেখতে চান। কিন্তু তার দেখানো ঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ঘরটির তালা খুলে দিতে বললে আব্দুল আলী এই কর্মকর্তার উপর ছড়াও হন।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল আলীর সাথে যোগাযোগ করনলে তিনি বলেন, আমাকে কল না দিয়ে উনারা তদন্ত করতে আসেন। আমি অন্য মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে এসেছি। ঘর খুলতে দেরি হওয়ায় তিনি আমার সাথে খারাপ আচরন করায় নিজেকে নিয়স্ত্রণ রাখতে পারিনি। তাই দুইএকটা কথা রাগের মাথায় বলেছি।
ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন বাহার বলেন, আব্দুল আলী বিএনপির একজন কর্মী, সে কোন পদ পদবীতে ছিলোনা। ৫ আগষ্টের পর বিভিন্ন কাজে সে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। দলের নাম বিক্রি করে কেউ অনৈতিক কাজ করার সুযোগ নেই।
উপজেলা সমাজমেবা কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন বলেন, আমি ডিলার নিয়োগের আবেদন কারীদের তথ্য যাচাই বাচাই করার জন্য মাঠ পরিদর্শনে যায়। আব্দুল আলী একজন প্রার্থী। সে তদন্তে সহযোগিতা না করে মিথ্যা তথ্য দেয়। এসব বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। ঘটনাটি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলাউদ্দিন বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এছাড়াও ভিডিওতে আমি তাকে অপমান অপতদস্থ করার দৃশ্যটি দেখেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।