শাহাদাত হোসেন, হাতিয়া প্রতিনিধি-
নোয়াখালী হাতিয়ায় বিয়ের দাবিতে এক পল্লীচিকিৎসকের বড়ীতে তিনদিন ধরে অনশন করছেন এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন এসে ভীড় করেন। চঞ্চল্যকর এঘটনাটি ঘটে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ববিরবিরী গ্রামে।
পল্লীচিকিৎসকের নাহেদ উদ্দিন উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ব বিরবিরি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। সে একই এলাকায় গ্রাম্য বাজারে ফার্মেসী ব্যবসা করেন। খালেদা আক্তার একই এলাকার মোছলেহ উদ্দিনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্লীচিকিৎসক নাহেদ উদ্দিনের বাড়ীতে অনশনে থাকা খালেদা আক্তারকে ঘিরে এলাকার উৎসুক লোকজন দাড়িয়ে আছে। প্রতিবেদককে দেখে সবাই এগিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, নাহেদের সাথে খালেদা আক্তারের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে। এ সুবাধে খালেদা বাজারে থাকা পল্লীচিকিৎসকের দোকানে গিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নাহেদ পালিয়ে যায়। পরে মেয়ে নিরুপায় হয়ে নাহেদের বাড়িতে গিয়ে উঠে। গত তিনদিন ধরে সে ওই বাড়ীতে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বসলেও সম্পর্কের তেমন কোন প্রমান দিতে না পারায় সমাধান হয়নি।
অনশনে বসা খালেদা আক্তার বলেন, তার সাথে আমার অনেক দিনের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ^স্ত করেছে। এখন তার পরিবার তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে করানোর জন্য কথা বলতেছে। এটা শুনে আমি তাকে কল দিয়েছি। সে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে আমার সম্পর্কের আধিকার নিয়ে তার বাড়িতে চলে এসেছি। আমাকে বিয়ে না কর পর্যন্ত এ বাড়ী ছেড়ে আমি যাবো না। প্রয়োজনে আমার লাশ যাবে।
পল্লীচিকিৎসকের নাহেদ উদ্দিন বলেন, এ মেয়েটি দীর্ঘদিন থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সে কয়েকবার আমার পথ আটকিয়েছে। এলাকার একটি চক্র এ ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত রয়েছে। তার সাথে আমার সম্পর্ক আছে এমন কোন প্রমান দিতে পারলে সমাজের যে কোন শাস্তি আমি মাথা ডেতে নেব।