মোঃ একে আজাদ
অতীতে বেশিরভাগ সময় জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করতে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি শুরু অথবা এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা আসলেও এখনো আনুষ্ঠানিক রোডম্যাপ দেয়নি নির্বাচন কমিশন।
যদিও সরকারের ঘোষণা অনুয়ায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে- প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর থেকেই কমিশন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
“ইলেকশন কমিশন তো ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুত,” বলেন মি. মাছউদ।
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার আগের ঘোষিত সময় অনুযায়ীই আমরা অলরেডি প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচন আয়োজন, কমিশনের প্রথম কাজই এইটা।”
“যে টাইম এখন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দিয়েছেন এই সময়ের মধ্যে আমরা প্রস্তুত আছি এবং প্রস্তুত হয়ে যাব,” বলছিলেন মি. মাছউদ।
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে খুব একটা সমস্যা দেখছেন না নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, অসম্ভব নয়”।
তিনি বলছেন, ভোটার তালিকার ওপর নির্বাচনের বড় একটি প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। কেননা ভোটার তালিকার ওপর নির্ভর করেই ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি, সীমানা চূড়ান্তসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক বড় প্রস্তুতি নিতে হয়।
এছাড়া “রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো কাজগুলোও সময়সাপেক্ষ,” বলেন মি. আলীম।
তবে আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।