খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত, আহত ও দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশব্যাপী খুন-খারাবিতে মেতে উঠেছে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দুস্কৃতকারিদের দ্বারা সংঘটিত ব্যাপক সংঘর্ষে প্রাপ্ত তথ্যমতে ৪ জন নিহত, প্রায় ৭০ জন গুরুতর আহত এবং দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশব্যাপী খুন-খারাবীতে মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। দুস্কৃতিকারিরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যাসহ গুরুতর আহত করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দুস্কৃতকারিদের দ্বারা হতাহতের ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিএনপি মহাসচিব খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতে জনগণের ওপর হামলাকারী দুস্কৃতকারিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানিয়ে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।