অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনার যে পুলিশ বাহিনী, তিনি যেভাবে তৈরি করেছিলেন- সেই পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা অপরাধী তাদেরকে অতি দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এই মাসুম বাচ্চাদেরকে হত্যা করার জন্য যারা সরকারের মধ্যে থেকে পুলিশ বাহিনীকে মদদ দিয়েছে তাদেরকেও অতিদ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আমরা বিএনপির পরিবারের উদ্যোগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশকে কোন আন্দোলন ও বিক্ষোভে শর্টগানের মত নিষ্ঠুর অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে হবে। এটি এই সরকারের দায়িত্ব। কারণ এই শিশু ও কিশোরদের রক্তে রঞ্জিত পথে আজকের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপূরক হিসেবে সরকারকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের আন্দোলন অভূতপূর্ব আন্দোলন। পায়ে গুলি খাচ্ছে, কিন্তু হাত প্রসারিত করে তারা সেই গুলিকে আমন্ত্রণ করেছে। এই অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত আমরা সাঈদকে দেখেছি। রংপুরের পাশাপাশি ঢাকার রাজপথের অলিতে গলিতে পুলিশ গুলি করে কতজনকে যে হত্যা করেছে তার কোন শেষ নেই।
রিজভী বলেন, যাদের অবদানের মধ্য দিয়ে এবং রক্ত স্রোতধারা বইয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য যারা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, সেই সমস্ত নিহত ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের হাসপাতালে যারা কাতরাচ্ছেন, যারা মৃত্যু যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে আছেন- আমি তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।