রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশে ও মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। জামায়াতসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সুকৌশলে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা ও নির্বাচনে অযোগ্য করার জন্য সরকার ফরমায়েশি রায়ের আশ্রয় নিয়েছে বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী।
দলটি বলছে, সরকার ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে চায় এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি করতে চায়।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে আজ (বুধবার) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি। সেখানে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলায় ন্যায়ভ্রষ্ট আদেশ ও ফরমায়েশি একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ এবং ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি ও ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলগুলো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।