শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেটঃ
গাজীপুরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি: নেতাকর্মীদের হাতে হাতেনাতে ধরা, পুলিশের কাছে সোপর্দ রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও ফিলিস্তিন: এক অনন্য কূটনৈতিক বন্ধন সংস্কার শেষে এ বছরেই নির্বাচন চায় সমমনা ইসলামী দলগুলো অবশেষে সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবের ২৫টিতে একমত বিএনপি, দ্বিমত ১৬ টি এবার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার মেঘনা আলম বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ড. ইউনূস জিয়া সাইবার ফোর্স সেনবাগ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন মিশুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব চৌধুরী এই বৈশাখ নতুন দিগন্ত নিয়ে আসবে: মির্জা ফখরুল

১৩০ টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৬২ Time View

পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানিয়েছেন ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। পোশাক কারখানায় কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে এসব কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয় বলে জানান তিনি। রোববার (১২ নভেম্বর) উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে ‘পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কয়েকটি কারখানায় অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব কারখানার মালিকরা মূলত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি। করোনা পরবর্তী সময়ে অন্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।

শিল্পের উত্থানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। কারখানা বন্ধ হয়েছে নানান সংকটে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ এর সদস্যপদ গ্রহণ করলেও কালের পরিক্রমায় ৩ হাজার ৯৬৪টি সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি এবং পরে অন্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, শিল্পের অভ্যন্তরের গভীরতম সংকটের বিষয়টি গণমাধ্যমে সেভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। কতখানি সংকটের মধ্যে থেকে, কতখানি অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়ে কারখানাগুলো চলছে তা বন্ধ হওয়ার কারখানার পরিসংখ্যানই বলে দেয়। কোনো উদ্যোক্তাই চান না, তার অক্লান্ত কষ্টে তিলে তিলে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানা বন্ধ হোক। কিন্তু বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কিছু বিষয় আছে যার প্রভাব থেকে শিল্প চাইলেও বের হতে পারে না, শিল্পকে তা গ্রহণ করতেই হয়। এটাই এ শিল্পের কঠিন বাস্তবতা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
©ziacyberforce.com
themesba-lates1749691102