সংবাদ:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর অন্যতম অনলাইন সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ আলফাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল তালুকদার (রবি) এর যৌথ সিদ্ধান্তক্রমে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে প্রকাশিত ইতালি শাখার (আবদুল জলিল-জাকির হোসেন) কমিটি বহাল রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “জিয়া সাইবার ফোর্স (Zia Cyber Force) এর সঙ্গে ‘জেড সি এফ (ZCF)’ নামের অন্য কোনো সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ফাইজাল খান, যিনি ২০১৮ সালে সংগঠন থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও কথা বলতে কুণ্ঠাবোধ করেননি, তিনি আবারও ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের পর সংগঠনে ফিরে এসে নিজেকে সভাপতি দাবি করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত নেতাকর্মীরা তাকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলেও তিনি বিদ্রোহ করে নতুন নামে ‘জেডিসিএফ’ সংগঠন তৈরি করেন।
এছাড়া, অনলাইনে ফাইজাল খান ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দলের কিছু শীর্ষ নেতা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অতীতে ফাইজাল খান ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিল এবং রাজনৈতিকভাবে তেমন সক্রিয় ছিল না। ২০১৮ সালে অনেক সদস্য স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভয়ে সংগঠন ছেড়ে দিলেও, তখনকার সংগ্রামী নেতাকর্মীরা—কে এম হারুন, মোহাম্মদ আলফাজ দেওয়ান, রবি তালুকদার, মিয়া রাজিবুল ইসলাম, রায়হান, ইউসুফ, আশিকসহ অনেকে অনলাইনে জিয়া সাইবার ফোর্স এর মাধ্যমে বিএনপির মিডিয়া ফ্রন্ট হিসেবে কাজ চালিয়ে যান।এবং কে এম হারুন গুম হোন।মোহাম্মদ আলফাজ দেওয়ানসহ উক্ত সংগঠন এর অনেকেই গুম হওয়ার হুমকি পান।বাড়ী-ঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হোন।
তাদের সঙ্গে সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হারুনুর রশিদ, এবং প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।
জিয়া সাইবার ফোর্স দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিএনপির পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু এখন ফাইজাল খান গং টাকার বিনিময়ে কিছু নেতার সঙ্গে আতাত করে সংগঠনের ঐক্য নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তির শেষে সংগঠনের নেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,
“অনলাইন মাধ্যমগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদী আদর্শের শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য।”