নিজস্ব প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর:
জুলাই (২০২৪) গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা এবং লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। গত ৫ই আগস্ট সৈরাচারী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও সাবেক সরকারের পেটোয়া বাহিনী-প্রশাসনের গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। ঢাকার যাত্রাবাড়ী মোড়ে আন্দোলন চলাকালীন তাঁর মাথায় গুলি লাগে। কোনোমতে প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমানে তিনি নিয়মিত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে কঠিন পাঞ্জা লড়ছেন।জানা যায়, মো. সুমন হোসেন দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও এর অঙ্গসংগঠনের একজন নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক। এর আগেও গত ২৮শে অক্টোবর ২০২৩ তারিখে ঢাকা মহাসমাবেশ থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় দেড় মাস জেল খেটে মুক্তি পান।
তবে, যে বিষয়টি সকলকে অবাক ও মর্মাহত করেছে, তা হলো—দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার পরও তাঁর জন্য এখন পর্যন্ত দল বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের খোঁজ খবর বা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়নি। এমনকি জুলাই আন্দোলনের একজন গুরুতর আহত যোদ্ধা হিসেবেও তিনি কোনো সরকারি সহায়তা পাননি। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য যে সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন, তা থেকেও তিনি বঞ্চিত।জুলাই আন্দোলনে আহত এই ত্যাগী সৈনিকের পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাই গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনের সৈনিক এবং বর্তমান গণ-অভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা হিসেবে মো. সুমন হোসেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জোর আকুল আবেদন জানানো হয়েছে। অবিলম্বে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে, যাতে একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক কর্মী উন্নত চিকিৎসা পেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।