স্টাফ রিপোর্টার-মো রুহুল আমিন (আলামিন)
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে এই প্রথমবার জাতীয়ভাবে এবং দেশজুড়ে একযোগে শুরু হলো ‘লালন উৎসব ও লালন মেলা’। নতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রার অংশ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় এই বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে।সারাদেশে উৎসবের আমেজ
জাতীয় উদ্যোগে লালনের ১৩৫তম তিরোধান দিবসকে এবারই প্রথম ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে।
৬৪ জেলায় একযোগে: কুষ্টিয়া ও ঢাকার মূল আয়োজনের পাশাপাশি আগামী ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে দেশের সকল জেলায় একযোগে শুরু হয়েছে লালন উৎসব ও মেলা।কুষ্টিয়ায় মূল আয়োজন: লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়ি, কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে চলছে মূল উৎসব। এখানে ১৭ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত (৩ দিনব্যাপী) লালনের ভাব-দর্শন চর্চা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার বাউল, সাধু ও ভক্তরা এই মিলনমেলায় সমবেত হয়েছেন।
ঢাকায় উৎসব: কুষ্টিয়ার পরদিন ১৮ অক্টোবর (শনিবার) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ লালন উৎসব ও মেলা। এখানে জনপ্রিয় শিল্পী ও ব্যান্ড দল লালনের গান পরিবেশন করবেন।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই আয়োজনকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং মানবতাবাদী লালন দর্শনের সর্বজনীনীকরণের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন এই উৎসবের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দেশের সকল নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে লালন উৎসব ও মেলা প্রাণবন্ত ও সফল হয়ে উঠবে।