শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
সাভারের নতুন ইউএনও মাহবুবুর: যোগদানের আগেই বিতর্ক। ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে! তদন্তে প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও অব্যাহত রয়েছে শিক্ষক লক্ষ্মীপুরে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা, ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট ৭ বছর পর শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে পরনির্ভরতা থেকে মুক্ত করে স্বনির্ভরতা অর্জনের আহ্বান তৌহিদ হোসেন: ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের মন্তব্য অযৌক্তিক, নির্বাচন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নাহিদ ইসলামকে সাফ করতে হবে, কারা ‘সেফ এক্সিট’ চায়: রিজওয়ানা হাসান দুকুম সিদরা এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ বাংলাদেশি নিহত জিয়া সাইবার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম কে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা। ভারতের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী, পরিষ্কার করলেন তারেক রহমান

গৃহবধুকে শারিরীক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৫ Time View

ফটো কার্ড

শাহদাত হোসেন,হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতাঃ যৌন লালসা মিটাতে এক গৃহবধুকে দেওয়া হয় কুপ্রস্তাব। এতে রাজি না হওয়ায় ঘরে ঢুকে চালানো হয় শারিরীক নির্যাতন। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। বিবস্ত্র করে চালানো হয় শ্লীলতাহানি। এতে ক্ষান্ত হয় নি। অবশেষে হুমকি ধমকি দিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেয় পরে যেন কাউকে কিছু জানাতে না পারে। এমনি ঘটনা ঘটেছে হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে।

সোমবার (০৬ অক্টোবর) এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিয়া কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইসলামপুর গ্রামের হারুন মাঝির ছেলে। তিনি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম একই এলাকার জেলে মো.হাশেমের স্ত্রী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের কহিনুর বেগমের বসত বাড়ীর বসতঘরে কেউ না থাকার সুযোগে প্রবেশ করে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কহিনুরকে গাল মন্দ করে চুল ধরে টেনে কাপড় চোপড় ছিড়ে বিবস্ত্র করে। এসময় লাঠি দিয়ে উভয় পায়ের গিরায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। কহিনুর যাতে কোন আইন আদালতের আশ্রয় না নিতে পারে সেজন্য ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অলিখিত তিনটি একশত টাকার স্ট্যাম্প ও ২টি নীল কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।

কহিনুর বলেন, আনোয়ার মেম্বার আমাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিত। আমি বাধ্য হয়ে তার নাম্বার ব্লক করে দিই। গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে আমার ঘরে ঢুকে শারিরীক সম্পর্ক করতে চায়। আমি বাধা দিলে সে আমাকে কাপড় টেনে ছিড়ে মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলে। এমন কি আমাকে কোথায় চিকিৎসা নিতে দেয়নি। তার সন্ত্রাসী লোকজন দিয়া পাহারা দিয়া কয়েকদিন অবরুদ্ধ করে রাখে। আমি এ অত্যাচারের বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন বলেন, কহিনুর বেগমের মায়ের অনুরোধে তাদের স্বামী স্ত্রীর বিবাদ মীমাংসা করতে গিয়েছি। দুইদিন চেষ্টা করেও তা সমাধান করতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। একটা পক্ষ আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা বলেন, মামলার বিষয়ে কোর্ট থেকে এখনো কোন নির্দেশনা পাই নি। নির্দেশনা ফেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
©ziacyberforce.com
themesba-lates1749691102