বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
আপডেটঃ
জান্নাতের টিকিট বিক্রির প্রচার ধর্ম নিয়ে প্রতারণা: রিজভী মিরপুরে রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে লাগতে পারে কয়েকদিন জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৭ অক্টোবর, দলগুলো পেল চূড়ান্ত ভাষ্য ও আমন্ত্রণ মাদরাসাতুর রহমাহ্ আল আরাবিয়াহ-টঙ্গীতে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত “জিয়া সাইবার ফোর্স থেকে কৃষক দলের দায়িত্ব— আলফাজ দেওয়ানের সংগ্রামী গল্প” ডিসি ইউএনও আমার কাছে কিছু না, তোকেও দেখে নেব শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান টাঙ্গাইলে বজ্রপাত রোধে ৮০ হাজার গাছ রোপণ: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মিশরে গাজা শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর, বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক মুহূর্ত শ্রীপুরে জমি বিরোধের জেরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর দাফনে বাধা, হামলায় আহত ৩

সাবেক আ.লীগ নেতার ‘কোটি টাকার লবিংয়ে’ গকসু ভিপি মৃদুল। ​

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৬ Time View

ফটো কার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন-এর ফলাফল নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে তীব্র অসন্তোষ ও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ইয়াসিন আল মৃদুল দেওয়ান নির্বাচিত হলেও, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন— পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ছিল প্রশাসনিক প্রভাব, অস্বচ্ছতা এবং সাবেক প্রভাবশালী রাজনীতিক সাইফুল ইসলামের কোটি টাকার লবিং।

​সাইফুলের আর্থিক প্রভাবের অভিযোগ

​শিক্ষার্থী ও স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রের অভিযোগ, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম গকসু নির্বাচনে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া এই নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে গুলি চালানোর মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

​অভিযোগ উঠেছে, আশুলিয়ায় তার বিশাল ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতেই তিনি এই অর্থ ঢালেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রলীগ-ঘনিষ্ঠ প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে বসানো।

​নবনির্বাচিত ভিপি ইয়াসিন আল মৃদুল দেওয়ানের পারিবারিক পরিচয় ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি নবীনগরের নিরিবিলি এলাকার এক ‘বিতর্কিত প্রভাবশালী পরিবার’ থেকে এসেছেন বলে জানা যায়।

​ তার বাবা ভোলা-টিপু একসময় এলাকায় জোড়া খুন, মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলার আসামি ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টিপুর এক ভাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন, যিনি সাবেক এমপি মুরাদ জংয়ের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার ছিলেন।

​মৃদুলের ভাগিনা ইমন দেওয়ান বর্তমানে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের উপ-আইন সম্পাদক এবং সম্প্রতি ছাত্র হত্যার মামলায় কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

 

​শিক্ষার্থীদের মূল ক্ষোভ নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে। তাদের অভিযোগ, পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল ‘ম্যানেজড’। ভোট গণনার সময় প্রার্থী, সাংবাদিক বা পুলিশের কারো প্রবেশাধিকার ছিল না।

​শিক্ষার্থীরা বলেন, “ভোটকেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্ট রাখতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের ফল আগেই নির্ধারণ করা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও ট্রাস্টি বোর্ডের একটি অংশ সরাসরি এই ফলাফলে হস্তক্ষেপ করেছে।”

​বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি ও মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের অস্থিরতার সুযোগ নিয়েই রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে সক্রিয় হয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন।

 

​নির্বাচন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, নতুন নেতৃত্বের আশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি, বরং ‘বিতর্কিত পরিবারের উত্তরসূরিকে’ ফের নেতৃত্বে বসানো হয়েছে।

​নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম পরিবর্তন আসবে। কিন্তু দেখলাম সবকিছু আগে থেকেই ম্যানেজ করা ছিল। বিতর্কিত পরিবারের উত্তরসূরিকে বসানোর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
©ziacyberforce.com
themesba-lates1749691102