বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রথম দফায় বলা হয়েছে— প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এর জন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা বলা হয়েছে।
এই দফা বাস্তবায়িত হলে দেশের জনগণ বহুমাত্রিক সুফল পেতে পারে—
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা
প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধমুক্ত রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হলে সহিংসতা, বিভাজন ও দলীয় দমনপীড়ন কমবে। ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা বাড়বে, ফলে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে এবং নির্বাচনী পরিবেশে আস্থা ফিরে আসবে।
সামাজিক সম্প্রীতি ও বৈষম্যহীনতা
জাতি, ধর্ম, ভাষা বা অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য ও উত্তেজনা হ্রাস পাবে। পারস্পরিক বোঝাপড়া ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার ফলে সমাজে নিরাপত্তা ও আস্থা সৃষ্টি হবে।
অর্থনৈতিক অগ্রগতি
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে। বৈষম্যহীন নীতি সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
আইনের শাসন ও সুশাসন
প্রতিহিংসার রাজনীতি না থাকলে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমবে। নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুদৃঢ় হবে।
নাগরিক জীবনের উন্নয়ন
সাধারণ মানুষ ভয়মুক্ত পরিবেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে। সমান সুযোগ ও সুশাসনের ফলে জীবনের মানোন্নয়ন ঘটবে এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আস্থা জন্মাবে।
সব মিলিয়ে, এই দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে একটি সহনশীল, স্থিতিশীল ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠবে—যা রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে নতুন মাত্রা দেবে এবং যার প্রত্যক্ষ সুফল ভোগ করবে দেশের জনগণ।
চলবে….