শাহাদাত হোসেন, হাতিয়া প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের চর আমানুল্যাহ গ্রামে অবস্থিত হেদায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম (কচি)-এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক সংকট সৃষ্টি, নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের মতো গুরুতর অভিযোগের কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ।
শিক্ষকের অনুপস্থিতি ও শিক্ষাকার্যক্রমের ব্যাহত হওয়া
১৯৯৪ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী জনাব হেদায়েত হোসেনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২০ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কচি বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন না। এর ফলে পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও শ্রেণি কার্যক্রম সঠিকভাবে চলছে না। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগে মাত্র একজন শিক্ষক থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে হাতিয়ার সাবেক এমপি জল দস্যু মোহাম্মদ আলীর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটান এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। স্থানীয় সূত্রমতে, মো. রনি নামে এক ছাত্রের কাছ থেকে ফরম পূরণের কথা বলে তিনি ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিভাবকরা দ্রুত তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।