চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেনকে প্রবাস জীবনে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি গঠন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম-১২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আলহাজ্ব এনামুল হক এনাম। তিনি বিদায়ী সভাপতি কামাল হোসেনের রাজনৈতিক ত্যাগ ও অবদানের প্রশংসা করে বলেন—
“প্রবাসে থেকেও কামাল হোসেন দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে জিয়া সাইবার ফোর্স দক্ষিণ জেলায় শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। সংগঠনের প্রত্যেকটি সদস্য তার কর্মস্পৃহা অনুসরণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
সভাপতির দায়িত্ব ও অবদান
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন। সাধারণ সম্পাদক জয়নাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল উদ্দীন ছোটনসহ জেলা নেতৃবৃন্দ তার নেতৃত্বে গৃহীত নানা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, দক্ষিণ জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সকে সাংগঠনিকভাবে সুসংহত করতে তার অবদান সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সঞ্চালনা ও উপস্থিতি
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা দপ্তর সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদার ওসমান আহমেদ শান্ত।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মনির উদ্দিন নয়ন,
জেলার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দীন,
তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ হোসেন সাগর,
ক্রীড়া সম্পাদক আলী হোসেনসহ অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়াও পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, সম্ভাব্য প্রার্থী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বক্তাদের অভিমত
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকটে প্রবাসীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশে থেকেও দলের কর্মকাণ্ড প্রচারে ও তৃণমূল কর্মীদের উজ্জীবিত করতে কামাল হোসেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রবাসে থেকেও তিনি সংগঠনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ বজায় রেখে দলকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখবেন।
মিলনমেলায় রূপ নেয় সভা
জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের আন্তরিক অংশগ্রহণে বিদায় সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভাটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
জিয়া সাইবার ফোর্স চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বিদায় সংবর্ধনা ছিল শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং এক আবেগঘন মুহূর্ত, যেখানে সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ও নেতৃত্ব নিয়ে নেতৃবৃন্দ নতুন উদ্যমে অঙ্গীকারবদ্ধ হন।