ইন্টেরিম যে করিডর দিছে এইটা নিয়া খুব একটা পড়াশোনা করার টাইম পাইনাই। আজকে করলাম।
আর এখন বুঝতেছি, Bangladesh just committed one of the most dangerous geopolitical moves in its recent history under the illusion of “humanitarian aid”।
দেশবাসীর অনুমতি ছাড়া, রাজনৈতিক দলগুলার সাথে আলোচনা না কইরা, ইন্টেরিম UN হিউম্যানিটারিয়ান করিডর খুইলা দিছে চট্টগ্রাম-আরাকান রুটে।
আসেন আগে বুঝি “Humanitarian Corridor” আসলে কী। UN এইটারে বলে সাহায্য পাঠানোর রাস্তাঘাট। কিন্তু বাস্তবে ওরা যেইটা বানায়:
➤ এনজিও টাইপ তাঁবু বসে
➤ ইনটেলিজেন্স অফিসার ঢুকে
➤ “মানবিক সহায়তা”র নামে মিলিটারি ম্যাপিং হয়
➤ বিদেশি অস্ত্র, ড্রোন, ডেটা আস্তে আস্তে ঢুকে
➤ কিছুদিন পর সেই অঞ্চল আর নিজের থাকে না
Corridor = Invasion
আসেন কিছু বাস্তব উদাহরণ দেখি — করিডর কেমনে দেশ ধ্বংস করে:
✓ সিরিয়া:
→ “মানবিক সাহায্য”র নামে তাবু বসানো হইছিল।
→ এরপর সেই রাস্তাতেই অস্ত্র ঢুকছে, বিদ্রোহী ট্রেনিং ক্যাম্প বসছে।
→ ISIS আর আল-নুসরা এই করিডরের মাধ্যমেই তৈরি হইছে।
✓ ইরাক:
→ “No-fly zone” ছিল কাগজে।
→ বাস্তবে সেই অঞ্চলে US মিলিটারি বেস দিছিল।
→ সাদ্দামের পতনের রাস্তাটা এই ভাবেই বানাইছিল।
✓ লিবিয়া:
→ “Protection corridor” দেয়া হইছিল Qaddafi’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের জন্য।
→ এক মাসের মধ্যে NATO ওই করিডর দিয়া ঢুইকা পুরা দেশ বোমায় উড়ায়া দিল।
✓ গাজা:
→ “মানবিক সাহায্য” পাঠানোর জন্য Rafah গেটে করিডর খুলছিল।
→ এখন জানেন কী? সেই রাস্তাই মোসাদ-এর লোকজন ঢুকতে ব্যবহার করে।
→ গোপন ইন্টেল, হামাস সদস্যদের লোকেশন, সব কিছু ওই গেট দিয়া বের হয়।
✓ আফগানিস্তান:
→ “সাহায্য দিতে CIA করিডর বানায়” — এই ছুতা দিয়া বেস তৈরি করে।
→ সেখান থেকেই চালানো হইছে ড্রোন হামলা, খুন, আর গোয়েন্দা অপারেশন।
এইগুলা ফ্যান্টাসি না। এইগুলা প্রমাণিত সত্য।
প্রশ্ন হইল —
বাংলাদেশ আজকে করিডর খুলে দিয়া বললো “এইটা মানবতা”, তারপর ৬ মাস পরে যদি
→ সেখানে NGO দিয়া মিলিটারি ম্যাপিং হয়,
→ কোন এক রাতে surveillance drone নামে,
→ কোন এক সকালে UN interfaith cleric গিয়ে মুসলিম ক্যাম্পে বক্তৃতা দেয়,
→ আর ২ বছর পরে সেই এলাকাই “safe zone” ঘোষণার নামে দখল হয়,
তখন আপনি আমি কী করতে পারবো?
একই স্ক্রিপ্ট বারবার। শুধু রং আর ভাষা বদলায়।
এই করিডরের পেছনে খেলোয়াড় কারা? আসেন পরিচিত হই:
১। আমেরিকা:
→ চীনের ইন্ডিয়ান ওশান অ্যাক্সেস ব্লক করতে চায়
→ সাহায্যের নামে মিলিটারি লজিস্টিক ঢুকাবে
→ “মানবাধিকার” দিয়া স্পাই হাইওয়ে বানাবে
২। ইসরায়েল:
→ আরাকানকে ভাবে সাউথ ইস্ট এশিয়ার স্পিরিচুয়াল গেট
→ মুসলিম জাগরণ শুরু হওয়ার আগেই এখান দিয়ে থামাইতে চায়
→ থার্ড টেম্পলের প্রফেসাইজড জায়গাগুলার একটার ভিতরে চট্টগ্রাম–আরাকান করিডর পড়ে
৩। ভারত:
→ কালাদান মাল্টি-মোডাল প্রজেক্টের ফাইনাল সিল এইখানে
→ উত্তর-পূর্ব বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের জমি ব্যবহার করতে চায়
→ গাজওয়াতুল হিন্দ আসার আগেই পূর্বদিক সীল করে দিতে চায়
প্রশ্ন হচ্ছে, চীন আর রাশিয়া কি চুপ থাকবে?
৪। চীন:
→ ওদের আরাকানে বিলিয়ন ডলারের করিডর আছে (Kyaukphyu Port)
→ UN করিডর মানে ওদের চোখে NATO presence
→ পাল্টা জবাব দিতে পারে স্পাই অপস বা বিরোধী গোষ্ঠী গুলারে ফান্ডিং দিয়া
রাশিয়া:
→ মিয়ানমারকে নিয়মিত অস্ত্র দেয়
→ পশ্চিমাদের ঢুকতে দেখলে স্বাভাবিকভাবে খুশি হবে না
→ ডিপ্লোম্যাটিক চাপে ফেলবে, সরাসরি সংঘর্ষে যাবে না, কিন্তু চুপও থাকবে না
একটা নতুন কোল্ড ওয়ারের রেখা এখন আঁকা হইতেছে আরাকানে।
আরাকান কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কারণ এই জায়গাটা:
→ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোডের গেইটওয়ে
→ বঙোপসাগরের প্রবেশপথ
→ বৌদ্ধ-হিন্দু-মুসলিম জোনের প্রাকৃতিক বাফার
→ সাউথ ইস্ট এশিয়ার মুসলিম পরিচয়ের স্পিরিচুয়াল ফ্ল্যাঙ্ক
→ ভবিষ্যতের গাজওয়াতুল হিন্দের মজবুত র্যালি-পয়েন্ট
আরাকান হারানো মানে উম্মাহর পূর্বদিকের ফটক বন্ধ কইরা ফেলা।
আসেন জানি UN এর “মানবিক সাহায্য”র লোগোর আন্ডারে আসলে কারা আছে? এই যে এরা:
→ WFP, WHO, UNHCR = পশ্চিমা গোয়েন্দাদের লেজার স্ক্যানার
→ MSF, Save the Children = ফিল্ড ম্যাপিং + লোকাল মনিটরিং
→ UN Troops = NATO ছায়া বাহিনী, ব্লু হেলমেট পরা দখলদার
তাইলে এই করিডর দিয়া বাংলাদেশ কী পাবে?
→ কিছু ডলার
→ নিজের মাটির ভেতরে surveillance বেস
→ Teknaf আর Naf নদীর পাশে ড্রোন রুট
→ যুদ্ধ হইলে পূর্ব ফ্রন্ট কাদের হাতে থাকবে, আপনিই বলেন
→ ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে একটা UN ম্যানেজড মুসলিম “থিম পার্ক”
একজন মেহমানের জন্য কেউ বাসা বিক্রি করে না। কিন্তু বাংলাদেশ এখন মিলিটারি এলাকা ভাড়া দিছে প্যাকেজ সুদ্ধা।
হাসিনার পতন কি বিজয় ছিল? হ্যাঁ। সে ছিল ভারতের চরম দালাল। কিন্তু ইউনুস? এই মাল খুশি মুখে পশ্চিমাদের লিস্টে সাইন কইরা দিতেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, গেটস ফাউন্ডেশন, DAVOS এদের প্রিয় মুখ
হইলো ড. ইউনূস। এই করিডরের মাধ্যমে ওদের লিস্টের প্রধান কাজটা সে কমপ্লিট করলো।
তাইলে খেলা বুঝতেছেন?
পুতুল বদল হইছে। নাটের গুরু আগেরই আছে।
কিন্তু এখন কী করা দরকার?
→ এই মানবিক সাহায্যের ফালতু ন্যারেটিভ বাতিল করার জন্য লেখতে হবে
→ জাতীয় সম্মতি ছাড়া কোনো ফরেন এনট্রি মানি না, করিডর মানি না, এই দাবী করতে হবে
→ আলেম, অ্যাক্টিভিস্ট, স্টুডেন্ট সবাইকে ডিপ স্টাডি কইরা সত্য জানতে হবে
→ “ফরেন এইড” রোমান্টিসাইজ বন্ধ করতে হবে
→ মুসলিমদের গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে পড়তে হবে
লেখা শেষ করতে পারতেছি না এখনই।
করিডর দেয়ার আগেই এই ইন্টেরিম সরকার কী কী করছে বা চুপচাপ ঠেলতেছে?
১. সংবিধানে “Pluralism” সংযোজন করতে প্রস্তাব দিছে। এইটার মানে অনেক আলেমও বুঝেন না। একটু পড়াশুনা করতে হবে ভাই। Secularism এর বাপ হইলো Pluralism। এইটার মাধ্যমে ইসলামী শিকড় কেটে ফেলা হবে। LGBTQ পুশ দিবে। ধর্মীয় রীতিনীতি পুরাই প্রাচীন শো পিস বানায় ফেলবে।
২. ১১টা রিফর্ম কমিশন বসাইছে। বিচার বিভাগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন সব বিদেশী ফ্রেমওয়ার্কে যাচাই করতেছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কোনো ইচ্ছা নাই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ, দেশের সচিব পর্যায়ে পরিবর্তন, ফ্যাসিবাদ নির্মূল, এগুলা নিয়া কোনো প্ল্যান নাই। উল্টা বিএনপির পুরান মাস্তানদের জেল থেকে ছাইড়া দিতেছে।
৩. Starlink স্যাটেলাইট এর লাইসেন্স আনছে। Full-spectrum digital mesh under Elon Musk, a Zionist-sympathetic capitalist। দেশের মাথার উপরেই এখন থেকে থাকবে নজরদারির জাল। ডেটা আর কমিউনিকেশন হবে আমেরিকান কন্ট্রোলড।
৪. U.S. Trade Concessions Behind Closed Doors। যুক্তরাষ্ট্র ট্যারিফ ডিলে করবে বলছে। এর বদলে দেশে আমেরিকান খাদ্য, ওষুধ, ফার্মা, ডিজিটাল লেভারেজ ঢুকতে দিতেছে। (আমার আরেকটু পড়াশোনা করতে হবে এই বিষয়ে)।
৫. UNICEF এর “চিলড্রেনস কোর্ট” ঢুকাইছে। Your child can be taken, judged, or labeled extremist via UN standards। বুঝতেছেন?
৬. Gates Foundation দিয়া হেলথ সেক্টরে ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রণ, নিউট্রিশনের নামে নীরব ইউজেনিক্স চালাইতেছে। কিন্তু বিষয়টা একটু ঘোলাটে। আরো পড়াশোনা করবো।
৭. Marital Rape Law, LGBTQ normalisation, রেইনবো ফ্ল্যাগ, ইনক্লুসিভ এডুকেশন, আইডেন্টিটি রাইটস, সংসদ ভবনের উপর এঞ্জেল সিম্বল,, Prostitution rebranding under “Sex workers’ rights”….. and so on।
এখন বলেন.. ইউনূস যে আসলেই পাঁকা খেলোয়াড় সেটা তো সবাই বলতেছিলাম। কিন্তু সে আসলে কি নিয়া খেলতেছে বা কার হয়ে খেলতেছে সেইটা কি ভাবছেন?
[Collected post]
এখন বলেন, এই দেশ দ্রোহীতা, বিদেশী শক্তির স্বার্থকে দেশের স্বার্থের চেয়ে বড় করে দেখা, পরিশেষে আমাদের ভৌগলিক পলিসিকে বিদেশীদের কাছে জিম্মি করার এখতিয়ার সুন্দর ইউনূস স্যারের আছে কি? কিন্তু তিনি আসলে কি নিয়া খেলতেছে বা কার হয়ে খেলতেছে সেইটা কি ভাবছেন?
মোজাফফর হোসেন রেভেল
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।