প্রসঙ্গঃ অগণতান্ত্রিকভাবে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের সরকারকে দীর্ঘায়িত করার প্রস্তাব স্যারকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা।
এস.এম. কামাল হোসেন।
বিগত ১৬ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন দল, ছাত্র- জনতা ও শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শাসকের অপকর্ম জনগনের নিকট উপস্থাপনের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলো।ছাত্রদের কোটা, কোটা থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোমলমতি সন্তানদের নির্যাতন ও হত্যা এবং গণহত্যা বিক্ষুব্ধ জনগোষ্ঠী বিস্ফারিত করে জুলাইয়ে গনঅভ্যুত্থানে রুপান্তরিত হয়েছে। চরম স্বৈরাশাসক দলবল নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
সুতরাং জুলাই বিপ্লবের অংশীদারিত্ব গনতন্ত্রকামী দল, ছাত্র জনতা এবং শ্রমিকসহ সবাই।
চরম ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরে জুলাইয়ে বিপ্লবের অংশীদারিত্বে থাকা গনতন্ত্রকামী সকলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বিশ্ব বরেণ্য বাংলাদেশের গর্ব ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ জনগণ মনে প্রানে বিশ্বাস ছিলো অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের ধ্বংস করে দেওয়া নির্বাচন ব্যবস্থাকে সংস্কারের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব জনপ্রতিনিধিত্ব সরকারের প্রতিষ্ঠা করা এবং গনতন্ত্রকামী দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে রুপরেখা তৈরি করে এবং পরবর্তী নির্বাচিত সরকার বা জাতীয় সরকার কতৃক জাতীয় সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করানোর সক্ষমতা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের রয়েছে।
এখন পর্যন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশ্ব বরেণ্য নোভেল জয়ী, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের নয়নের মনি ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যার, সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এক অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার যে দক্ষতার দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন সেগুলো অধিকাংশ জনগণের স্বপ্নের মাত্রা আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
অপরপক্ষে জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কিছু সংখ্যক সমন্বয়ক অন্তবর্তীকালীন সরকারে প্রতিনিধিত্ব করা, প্রতিনিধিত্ব থাকাকালীন দল গঠনের ঘোষণা , পরবর্তী সময়ে একজন পদত্যাগ করে দলের প্রধান হওয়া এবং এখন পর্যন্ত সমন্বয়কদের সরকারে প্রতিনিধিত্ব করা।দলগঠনের পর পরই ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে নির্বাচনহীন দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় রাখার ঘোষনা এবং কতিপয় স্বনামধন্য অলাইন এক্টিভেটদের তার সমর্থনের অশালীন শব্দচয়নে নির্বাচন বিরোধী কথাবার্তা এদেশের গণতান্ত্রিককামী জনগণকে সন্দিহান করে তুলেছে। আমি মনে করি, অগণতান্ত্রিকভাবে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় রাখার প্রস্তাব স্যারকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা।
বরং এই সমস্ত জ্ঞানপাপী যদি সত্যিকারের গনতন্ত্র, দেশ ও জনগনের এবং ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের হিতাকাঙ্ক্ষী হইতেন, তাহলে দাবী করতেন সংস্কারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য এনে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সকল গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নির্বাচনের আগে ঘোষণা করতে হবে , নির্বাচন পরবর্তী সরকারে বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে আজীবন ( যতদিন সক্ষম থাকবেন) দেশের উন্নয়নের ভূমিকা রাখার সুযোগ দিবেন।
কিন্তু জ্ঞানপাপীরা সঠিক পথে না গিয়ে, বিশ্ব নন্দিত ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের নির্বাচন বিহীন অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দীর্ঘায়িত করার ঘোষণার মাধ্যমে নতুন ঘোষিত কিংস পার্টি এনসিপি কে অধিকতর সুবিধা দেওয়ার জন্য ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টার মাধ্যমে পতিত ফ্যাসিস্ট বিশ্বের চরম ঘৃণিত শেখ হাসিনার একই পথে চলার কৌশল অবলম্বন করছেন।
অগণতান্ত্রিক ও অপকৌশলের পথ পরিহার করে আসুন সবাই আওয়াজ তুলি, বাংলাদেশীদের শান্তিদূত বিশ্ববরেণ্য ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে নির্বাচন পরবর্তী সরকারে বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে আজীবন( সক্ষমতা কালীন সময়) আসীন দেখতে চাই এবং গনতন্ত্রকামী দল কতৃক অবিলম্বে সেই ঘোষণা করা হউক!