শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

জিয়া সাইবার ফোর্স ZCF

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ০ Time View
জিয়া সাইবার ফোর্স ZCF এর লোগো
জিয়া সাইবার ফোর্স ZCF ও কিছু কথাঃ
আওয়ামী রেজিমের খুব বড় একটি ভয় ছিল মানুষের বাক স্বাধীনতা, খুব স্বাভাবিক ভাবেই ফ্যাসিবাদ কায়েমের জন্য এই মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা নামক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধের মারণাস্ত্র গুলো কে ধ্বংস করে দেবার জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিম মরিয়া তখন সামুব্লগ (সামহোয়্যার ইন ব্লগ) এবং ২০১২ সাল পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জাতীয়তাবাদী মতপ্রকাশের একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসাবে দাঁড়াতে থাকে। একসময় জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদী অনলাইন গ্রুপ “জেড ফোর্স” এর পাবলিক গ্রুপে পোস্ট দেয়া শুরু করি। মাস্টারদা সূর্যসেন, দীপ্র হাসান নামক দুটি আইডির লেখা গুলো ফলো করতাম। এত বিশ্লেষণ বা এনালিটিকাল কোন লেখা তখন চিন্তাই করিনা, জাস্ট মনোভাব টা প্রকাশ করতাম। কালের পরিক্রমায় বি এন পি মিডিয়া উইং নামের একটি গ্রুপ দেখি। চিন্তিত ফায়েজ ভাই, কাজী লোকমান নামের দুটি আইডির বেশ লেখালেখি চোখে পড়ে। ধীরে ধীরে জানি অনেক গুলো বিখ্যাত নাম, দেরিতে এই নামগুলো জানা আমার ই অযোগ্যতা হয়ত। জাতির নানা, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো, ক্যাপ্টেন নিমো, জুল ভার্ণ, দাসত্ব, ইলোরা জামান, কাণ্ডারি অথর্ব, ওয়াহিদ উন নবী, লাঞ্ছিতা বাংলাদেশ, মেজর ডালিম সহ আরও অনেকের নাম। এর পাশাপাশি নিজের খুব ভালো সম্পর্ক হয় মির্জা সাব, এম এ আজিজ রনি, আমি বিদ্রোহী এবং ব্ল্যাক ফাইটার নামক আইডির সাথে।
তখন আসলে সঠিক ব্যাক্তিগত পরিচয় বা তথ্য দেওয়াটা আসলেই বোকামি ও নিজের বিপদ ডেকে আনার নামান্তর ই ছিল। মির্জা সাব, এম এ আজিজ রনি, আমি বিদ্রোহী,ব্লাক ফাইটার বা সামির রায়হান এবং ফাইজাল এস খান নামক আইডির সাথে বেশ ভালো একটা সম্পর্ক নিয়েই আমাদের একটি নতুন প্রেক্ষাপট শুরু হয়। ৪ঠা মার্চ ২০১৫ সাল, আমরা সন্ধ্যার পর সবাই ই (মির্জা সাব, এম এ আজিজ রনি, আমি বিদ্রোহী,আমি নিজেসহ, ফাইজাল এস খান) একমত হই যে একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলা যায় এবং সেই আলাপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর, ৫ মার্চ ২০১৫ সালে  ফাইজাল খান (Faizal Khan) আইডি থেকে খোলা হয় একটি ফেসবুক গ্রুপ যার নাম ছিল “We Revolt”. তখন আমি বয়সে ছোট থাকায় ফাইজাল এস খান আইডি টিই ক্রিয়েটর এডমিন হিসাবেই থাকে এবং বাকি ৪ জন কো-ক্রিয়েটর হিসাবে আজও সকলেই জানে ।
বেশ কয়কজন উদ্যামী ও দলপাগল মানুষ যুক্ত হন খুব দ্রুতই যার মধ্যে রহস্যময়ী মুখোশ, বট তলার উকিল, বিদ্রোহী দাবানল, এমদাদ সাইফুল, ফ্রীডমবয় তিতাস, শফিক আরমান, ইউসুফ ডিজে হট, আশিক আদনান, রেজাউল করিম বিপু, জিঞ্জির আশিক, টিন টিন শাওন সহ অনেকেই।
খুব সম্ভবত ১৮ মার্চ সর্বসম্মত ক্রমে কয়েকটি নাম পর্যালোচনার মাধ্যমে ‘’জিয়া সাইবার ফোর্স’’ নাম নিয়েই অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন শুরু করা হয়। তখন পাবলিক গ্রুপ এর পাশাপাশি প্রথম পেজ খোলা হয়েছিল জিয়া সাইবার ফোর্স মিডিয়া সেল নামে। রহস্যময়ী মুখোশ, বট তলার উকিল এদুজনের পরিশ্রম ও কন্ট্রিবিউশন আজীবন ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবো। ব্যারিস্টার পারভেজ ভাইকে তখন সভাপতি করে সংগঠনের কাজ বেশ ভালোভাবে শুরু করা হয়। দীপা হাশেম আপা, অনিক খান, জনাব শাহেদ চৌধুরী, চিন্তিত ফায়েজ ভাই, জুল আফরোজ মজুমদার ,মোহাম্মদ আলফাজ দেওয়ান, আহমেদ মুসা বেলাল, অভিক জামান, নাসির উদ্দিন শাওন সহ অনেকেই আসেন ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এর মধ্যে পরিচালনা পরিষদে বা এডমিন প্যানেলে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দুদিন আগে বট তলার উকিল ও বিদ্রোহী দাবানল কোন একটি কাজে ঢাকা আসলে দেখা হয়েছিল কাকরাইল সংলগ্ন একটি মার্কেটের সামনে, বেশ প্রাণবন্ত আড্ডা দিয়েছিলাম। পরদিন পারভেজ ভাই এর সঙ্গে মহাখালী জাহাঙ্গীর গেইট সংলগ্ন ক্যাপ্টেন্স এ আমাদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করে ও পরদিন নির্বাচনের খবর সংগ্রহ ও প্রচারণার সকল দায়িত্ব বণ্টন করে নেই আমরা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নূর আলম বা রহস্যময়ী মুখোশ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে প্রবাসে থেকেও।প্রথমে সংগঠনের লোগো একদম আনকোরা থাকলেও পরে লোগো এবং সাংগঠনিক প্যাড ইউনুস রিংকু ডিজাইন করেন।আমাদের আইটি বিভাগে ছিলেন অনিক খান।সময়ের পরিক্রমায় কাজ এগিয়ে চলতে থাকে। পারভেজ ভাই একটি টকশো তে সংগঠনের নাম প্রচার করেন বেশ জোরালো ভাবেই এবং সংগঠনের সদস্য বা পাবলিক গ্রুপে মেম্বার বাড়ার কাজে বেশ চমৎকার একটি রেসপন্স পাই আমরা। যে কোন কারণেই হোক পারভেজ ভাই স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাস্ত হয়ে যাওয়ায় উনি সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন নি। সকলের অনুরোধে আমাদের কে বেশ কিছু বিষয়ে সহযোগিতা করেন বি এন পি র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, তৎকালীন বাগেরহাট জেলা বি এন পি র সিঃ সহ সভাপতি ও ২০০৮ এ বাগেরহাট ১ আসনের বি এন পি মনোনীত প্রার্থী এডঃ শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।এবং আরও একজনের নাম যে নামটি না লিখলে জিয়া সাইবার এর ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না তিনি হচ্ছেন আমাদের শহিদুল ইসলাম খান বাবুল ভাই।
২০১৫ সালের শেষ দিকে, পাবলিক গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৫১০০০। শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু সাহেবের সহযোগিতায় ত্থকালীন ১৪ দলের শরীক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ (প্রচণ্ড অসুস্থ থাকায় উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম) এবং বি এন পি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী জনাব শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাহেব এর সাথে প্রথমবার স্বাক্ষাত এর সুযোগ হয় অনলাইন গ্রুপ নিয়ে, কারণ উনি তখন এ বিষয়গুলো নিয়ে যারা কাজ করত তাদের কে উৎসাহ দিতেন এবং অনেক ভাবেই সহযোগিতা করতেন। ফাইজাল খান, অনিক এবং ইউসুফ জনাব শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাহেবের সঙ্গে দেখা করে আমাদের সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানান এবং উনি কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং অনুমতি দিয়েছিলেন উনার সাথে যোগাযোগ করার। আমাদের অনুরোধে উনি বাংলাদেশের তিনবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বি এন পি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাবস্থা করে দিয়ে আমাদেরকে আজীবন কৃতজ্ঞতার বাধনে বাধেন।
ফাইজাল খান, অনিক ও ইউসুফ তিনজন দেশনেত্রীর সামনে, দেশনেত্রী স্নেহের দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন, বলেছিলেন দলের দুঃ সময়ে তোমরা এগিয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশা। একটি ছবি তোলার সৌভাগ্য হয়েছিল উনার চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে (আমাদের জন্য এটা অনেক অনেক বেশি পাওয়া)। ছবিটি সেদিন রাতে গ্রুপে পোষ্ট করেছিলেন জনাব শাহেদ চৌধুরী ভাই। গ্রুপের গ্রহণযোগ্যতা সাধারণের কাছে আরও অনেকগুণ বাড়ে।গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কাউসার আহমেদ (মীর্জা সাব) একটু দেরিতে আসায় এই অবিস্মরণীয় মূহুর্ত মিস করে ফেলেন যা হয়তো তার আজীবন আক্ষেপের কারন হয়ে থাকবে।
২০১৫ সালের পর, পরিচয় হয় জনাব ওয়াহিদ উন নবী ভাই এর সাথে। সে সময় অনলাইনের অনেক কেই সংগঠিত করতেন শহিদুল ইসলাম খান বাবুল ভাই ব্যাক্তি উদ্যোগে।উনি আমাদের এগিয়ে চলাকে খুবী এপ্রিশিয়েট করতেন।
জনাব ওয়াহিদ উন নবী ভাইয়ের বাসায় একটি নিমন্ত্রণে অনেকের সাথেই সামনা সামনি দেখা হয়। শহীদুল ইসলাম বাবুল ভাই, ইকবাল চৌধুরী ভাই, বীথিকা ভাবি, হুমায়ুন কবির ভাই, জাহিদ হাসান ভাই, মরহুম টুকু জামিল ভাই, কে এম নাজমুল ভাই, কে এম হারুন ভাই এর সাথে ভার্চুয়াল থেকে বাস্তবে পরিচয় হয়।অসাধারণ অন্তরিকতা, আতিথিয়তা ও স্নেহের পরশ ছিল ওয়াহিদ উন নবী ভাই এর আচরণে। কে এম হারুন ভাইয়ের সাথে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। যথেষ্ট সাংগঠনিক প্রজ্ঞা থাকায় উনাকে আমন্ত্রণ জানাই ও উনি সসন্মানে গ্রহণ করেন।
অনলাইনে সমাধিক পরিচিত ক্যাপ্টেন নিমো, যে কোন কারণেই হোক উনার সাথে ইনবক্সে মেসেজ বিনিময় ও পরে মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান, অনেক কথোপকথন। প্রথম দেখা রাত ৮:৩০ এর দিকে আফতাব নগরে, ২০১৬ এর শুরুর দিক। অনলাইনের অনেকটা কিংবদন্তী পর্যায়ে ক্যাপ্টেন নিমো, ব্লগেও ছিলেন নষ্ট শয়তান, স্বত্যান্বেষী কিরীটী সহ অনেক নামেই। চমৎকার বললে ভুল ই হবে, অসাধারণ একটি স্টারটিং ভাইর সাথে, অনেক অলোচোনা। তবে নিমো ভাইর বাসায় জিসাফো টিম ৩-৪ বার যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন কাজে, উনার বই এর সংগ্রহ আসলেই ঈর্ষণীয়।আমার দেখা একজন গুণী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তি।
ঘটনার ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ৫ মার্চ সংগঠনের বর্ষপুর্তিতে আমরা হাসিনা সরকার এর বাংলাদেশ ব্যাংক এর রিজার্ভ চুরির প্রতিবাদে এবং জাতীয়তাবাদী অনলাইনের যারা নিবেদিত প্রাণ এরকম সকলের সন্মাননায় (যা পরবর্তী বছর গুলতেও চলমান ছিল ) আয়োজন করি একটি সেমিনার যেখানে বি এন পি র তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও পরবর্তীতে মহাসচিব জনাব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন। আমাদের ধারনায় ছিলনা মহাসচিব স্যার আসতে সন্মত হবেন তবে আমি অন্তত অবিচল ছিলাম ইনশাআল্লাহ স্যার ফিরিয়ে দেবেন না। এডঃ শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, ওয়াহিদ উন নবী ভাই ও কাজল রেহমান ভাইর একান্ত সহযোগিতায় মহাসচিব স্যারের বাসায় আমি, কে এম হারুন, আশিকুল ইসলাম, ইউসুফ,মোহাম্মদ আলফাজ দেওয়ান,সুমন, রায়হান, অনিক সহ বেশ কয়েকজন যাই স্যারকে আমাদের উদ্যোগের বিষয়ে জানাতে। মনে আছে এবং থাকবে, আমাদের সীমাহীন অবাক করে দিয়ে বি এন পি মহাসচিব নিজে দরজা খুলেছিলেন, নাস্তা করিয়েছিলেন, শুনেছিলেন এবং দিন তারিখ স্থান উনার পি এস ইউনুস ভাইকে লিখে রাখতে বলেছিলেন।
প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথি হিসাবে মরহুম প্রফেসর এমাজ উদ্দিন স্যার এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক জনাব শফিক রেহমান স্যার সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অর্থ সম্পাদক আব্দুস সালাম সহ আরও অনেকে। তখন একটি সাইবার সংগঠনের বর্ষপুর্তির সেমিনারে অনেকেই সভাপতিত্ব করতে চান নি আবার আমি ছোট মানুষ এটা তো চিন্তা করাই অসম্ভব ছিল।আমাদের প্রিয় বড় ভাই ফাইজাল এস খান নিজেও বি এন পি মহাসচিব এর সামনে সংগঠনের প্রধান হয়েও সভাপতিত্ব করার মত ধৃষ্টতা দেখাননি। এডঃ শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু চাচার সভাপতিত্বে সেই সেমিনার বি এন পি র মিডিয়া উইং এর জনাব শাইরুল কবির খান এর মাধ্যমে দেশের সকল মিডিয়ায় চলে যায় জিয়া সাইবার ফোর্স এর নাম। এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো, ক্যাপ্টেন নিমো, ইলোরা জামান, জাহিদ হাসান, ওয়াহিদ উন নবী, সাবিনা আহমেদ, নাসিমুল গনি খান, মরহুম টুকু জামিল, সহ অনেক কে ই প্রথম বার অনলাইনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য সন্মাননা স্মারক দেয়া হয়।উল্লেখ্য যে এই প্রোগ্রামে আমরা কার্ড এর মাধ্যমে শুধুমাত্র নিমন্ত্রিত অতিথি সহ সর্বোচ্চ ৭৫-৮০ জনের হিসাব করলেও প্রেস মিডিয়ায় চলে যাওয়ায় প্রায় ৩০০+ লোক উপস্থিত হন সন্মানিত মহাসচিব এর বক্তব্য শুনতে।
এরপর ঢাকা প্রেস ক্লাবে বি এন পি র ভাইস চেয়রম্যান জনাব আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন ও মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমদ-বীর বিক্রম,- বিশেষ অতিথি হিসাবে ও প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান স্যার প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন। এই সেমিনার এর দু দিন পর শফিক রেহমান স্যারকে ফ্যাসিস্ট সরকার এর অবৈধ বাহিনী এরেস্ট করে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ওয়াহিদ উন নবী ভাই আমাদের সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক হন এবং যে কোন কারণেই হোক ক্যাপ্টেন নিমোকে দায়িত্ব নেবার কথা বলা হলেও অবশেষে সেটা হয়ে ওঠেনি।
আমরা সাংগঠনিক কাজের সর্বোচ্চ উৎসাহ পেয়েছিলাম বাংলাদেশের তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বি এন পি চেয়ারপার্সন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে অনলাইনের অনেকে একত্রে সাক্ষাত করার এবং দেশনেত্রী বলেছিলেন “ আমাদের মিডিয়ার মুখ ওরা বন্ধ করে দিয়েছ, আমাদের মিডিয়া নাই, তোমরাই আমাদের মিডিয়া।‘’ এই উক্তিটিই আমাদের জন্য আজীবন সর্বোচ্চ সন্মাননা হয়ে থাকবে।এই সময়ে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা প্যানেলের সকলের ই দেখা হয়েছিল পরস্পরের সাথে।
এরকম চলমান সফলতার পর আসে চূড়ান্ত আঘাত এর প্রথম পর্ব। মুজিবুর রহমান মঞ্জু নামক এক হ্যাকার এর মাধ্যমে কোন এক স্বার্থগত লিপ্সা চরিতার্থ করতে ব্যার্থ হয়ে আমাদের গ্রুপ হ্যাক করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবির উপর ফটোশপ করে এক্স রেটেড ছবি বসিয়ে্যাপিড পোষ্ট দিতে থাকে।সীমাহীন নোংরামি করে দীপা হাশেম আপা এ ছবি নিয়ে। সকল নোংরামি সহ্য করেও দীপা আপা এবং আশিকুল ইসলাম আমাদের গ্রুপ চ্যাট ও পরিচালনা পরিষদের গ্রুপ গুলোকে এই ক্যু থেকে রক্ষা করেছিলেন।
এই পুরো ঘটনায় এরকম একটি অসহায় মুহুর্তে তখন সংগঠন ছাড়েন কে এম হারুন ও আলফাজ দেওয়ান।তারও ছিল বিশেষ কারন তাদের মূল দাবী ছিল সংগঠন একটি গঠনতন্ত্র থাকুক এবং গনতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত হোক।সংগঠন কখনও কারও একক হতে পারে না।
কে এম হারুন ভাই ও আলফাজ দেওয়ান ভাইয়ের উপস্থাপন করা সংগঠন এর যৌক্তিক দাবী গুলো নিয়ে সেই নারায়ণগঞ্জ শহরের আমাদের মুকুটমনি দীপা আপার বাসায় বসে ছিলাম।সংগঠনে নীতি মালা ও গঠতন্ত্র গঠন করা হয়।
যাই হোক আবার শুরু হয় সংগঠনের কার্যক্রম।
থেমে ছিলনা হ্যাকারদের প্রচেষ্টা। কুমিল্লার ছাত্রলীগের একটি হ্যাকার সংগঠন আমাদের গ্রুপের কারো আইডি হ্যাক করে পাব্লিক গ্রুপ হ্যাক করেছিল, যেটা আশিক আদনান এর প্রচেষ্টা ও এলাকার সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগাযোগ এর মাধ্যমে ট্রেস করে ফিরিয়ে আনা হয়।
তখন নিজেদের একটি ওয়েব সাইট থাকা ছিল একটি অসাধারণ ব্যাপার।আমাদের নিজস্ব ওয়েব সাইট ছিল (www.ziacyberforce.com) এটি বি ডি আর হত্যাকান্ড নিয়ে প্রকাশিত স্মরনে ৫৭ এবং বেশ কিছু সেন্সেটিভ নিউজের কারনে ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক বন্ধ করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে এটা আমরা আবার নতুন করে শুরু করি।
সাংগঠনিক কার্যক্রমের সফলতার সিড়ি বেয়ে এম হাসান সুমন , নাজিম উদ্দিন শিমুল, অপু মালিক, কে এম সবুজ, কে এম মাহবুব, হাসিবুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ মজনু, যুবায়ের তানভীর সিদ্দিকী, ইকবাল হোসেন, মেহেদী হাসান আল রাব্বী, রেজাউল করিম, জাবিন সাজ্জাদ, সবুজ পাশা, ডঃ এস এ এ শাফী, জনাব মাইনুল ইসলাম, মেহেদী হাসান (যুক্তরাজ্য প্রবাসী ) সহ অনেক অনেক মুখ।
সাঙ্গঠনিক কাজের ধারাবাহিকতায় সুন্দরবন এর পার্শ্ববর্তী রামপাল তাপ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি তে একটি সেমিনার যেখানে বি এন পি র মহাসচিব জনাব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন।
মুল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বি এন পি র ততকালীন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক জনাব এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো।অসাধারণ তথ্যবহুল, সমৃদ্ধ সেই প্রেজেন্টেশন টির মুল কথা গুলো পরদিন দেশের প্রায় সকল প্রিন্ট মিডিয়ায় পাবলিশ হয়, এমন কি ডেইলি স্টার খুব সুকৌশলে সংগঠন এর নাম উহ্য রেখে সংবাদ টি প্রকাশ করে।
সাঙ্গঠনিক কাজের আরেকটি চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ছিল ঢাকা প্রেস ক্লাবে বি এন পি র স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বি এন পি চেয়ারপার্সন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা ও সাজানো রায়ের প্রতিবাদে সেমিনারে।
তেল গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়া সাইবার ফোর্স আবারো প্রতিবাদ সেমিনার করে যেখানে বি এন পি র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। আমাদের এই সেমিনারে শাহেদ চৌধুরী ভাই এসেছিলেন প্রবাস থেকে এবং বক্তব্য দিয়েছিলেন। রাঙ্গুনিয়ার ছাত্রদল নেতা নুরু ভাই প্রোগ্রামে ছিলেন। কথা হয়েছিল অনেকক্ষণ এবং দেখা হবার কথা ছিল আবার। কিন্তু আর দেখা হয়নি। উনাকে হত্যা করা হয়েছিল হাত ও চোখ বেধে।এসে ছিলেন গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী সালাহউদ্দিন ভাইসহ আরও অনেকেই।
২০১৭ তে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর ও ২০১৮ তে কুড়িগ্রামে জনাব ওয়াহিদ উন নবী ভাই এর সর্বাত্মক সহযোগিতায়।এবং সেই সময়কার কমিটির মহাসচিব কে এম হারুন ভাই এর তত্ত্বাবধায়নে যথাক্রমে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বহরে যুক্ত হয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া। যেখানে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন ওয়াহিদ উন নবী ভাই।
অত্যান্ত প্রানবন্ত অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী পরিবার ও বি এন পি র ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এর প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিতি আমাদেরকে অনেক বেশি উৎসাহিত করেছিল। ওই অনুষ্ঠানে জিয়া সাইবার ফোর্স এর প্রধান সমন্বয়কের মাধ্যমে জনাব এফ এল হারুন সাহেব আমাদের সংগঠনে উপদেষ্টা হিসাবে আসেন।
২০১৮ সালের ৪ঠা অগাস্ট নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফাইজাল খানের নামে সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৫৭ ধারায় পল্টন থানায় মামলা হয়।
এর পর পরই জনাব কে এম হারুন ভাই – তৎকালীন মহাসচিব, জিয়া সাইবার ফোর্স হঠাত ই গুম হন মৎস্য ভবনের সামনে থেকে এবং প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত অবস্থায় রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় চোখে গামছা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়।
তবে কিছুদিন পরেই অর্থাৎ ২০১৯ এ গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক জনাব ওয়াহিদ উন নবী ভাইকে ১ ডজন মামলা, কে এম হারুন ভাইকে ৫ টি মামলা, আরাফাত মালিক অপুকে ৪ টি মামলা,মোহাম্মদ আলফাজ দেওয়ান ভাইকে ডিজিএফআই দ্বারা দেশ ত্যাগ সহ অনেককেই গ্রেফতার করে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন চালায় শেখ হাসিনার অনুগত বাহিনী।
এর পরই শুরু হয় নানান অঘটন।কি ছিল সেই ঘটনা?
জিয়া সাইবার ফোর্স প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। নানাবিধ ঘটনায় কেউ কেউ বহিষ্কার হয়েছেন, কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নামের এই সংগঠনটি কেউ একা একা প্রতিষ্ঠা করেননি ১০০% সত্য। এমন একটি মহান নামের সংগঠন কারো পৈতৃক হবে না বা কেয়ামত পর্যন্ত কারও মালিকানা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক এবং এটি সার্বজনীন (জাতীয়তাবাদীদের জন্য) এবং গনতান্ত্রিক সংগঠন। এই সংগঠনের সকল সিদ্ধান্ত সংখ্যা-গরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন।
এমনি একটি সিদ্ধান্ত ছিল, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার জন্য তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক জনাব ওয়াহিদ-উন-নবী সাহেবকে সংখ্যা-গরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়। এটি ২০২০ সালের ঘটনা। তার পরপরই উনার কিছু কট্টর সমর্থক পদত্যাগ করেন (১১ জন) এবং তারা সম্পূর্ন গায়ের জোরে সংগঠনকে একেবারে বিলুপ্ত বা স্থগিত করার ঘোষনা দেন।
কিন্তু সংগঠনের প্রায় ৯৩% নেতৃবৃন্দ ঘোষনা দেন সংগঠন চলবে স্ব-গতিতে এবং তাই চলতে থাকে। এরই মধ্যে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সারাদেশে প্রায় ৬১ টা ইউনিট কমিটি ও বিএনপি ঘোষিত জাতীয় কর্মসূচিতে কঠোর পরিশ্রম করে রাজপথ ও একাধারে অনলাইনে সমান ভূমিকা পালন করেন।
মূল প্রসঙ্গ হলো-রক্তপিপাসু স্বৈরশাসক জুলুমবাজ হাসিনা পলায়নের পর হঠাৎ করে উদয় হওয়া ফাইজাল খান (শেখ নাসিফ) তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন মেম্বার অনস্বীকার্য। তখন তিনি সংগঠনকে পিতা পুত্রের সংগঠন বানিয়ে নানাবিধ ফায়দা লুটেছেন।যারা জিয়া সাইবার ফোর্স এর শুরুতে ছিলেন,সেই আপনারা অনেকেই জানেন। অনেকেই এই ফাইজাল খান এর কাছে মোটা অংকের টাকাও পান, যা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন ২০১৬/২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে দেশনেত্রী জেলে যাবার পর থেকে এই ফাইজাল ও তার বাবা শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু সাহেব রাজনীতি থেকে অনেক দূরে গিয়ে ব্যবসা ও চাকরি রক্ষা করে। তাদের পরিবারের আওয়ামী লিয়াজো ওপেন সিক্রেট বিষয়। এতদিন উনারা না ছিলেন রাজপথে না ছিলেন অনলাইনে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে হঠাৎ করে এসে, দীর্ঘ শ্রম ঘাম দিয়ে চালিয়ে নিয়ে আসা নেতৃবৃন্দকে টেক্কা দিয়ে আবার একটা অবৈধ পাল্টা কমিটি করে নানান রকম উস্কানিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং ধান্দাবাজির দোকান খুলে বসেছেন। দেশ স্বাধীন না হলে হয়তো এখনো উনারা গর্তেই থাকতেন।রাজনৈতিক জীবনে উত্থান পতন থাকবেই,দলের দু:সময়ে যারা পালিয়ে ছিল আবারও এমন যদি হয়, এরা কি করতে পারে, তা অনুমেয়।
আপনাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না এবং তাদের এহেন অপচেষ্টায় কোনরূপ সহযোগিতা করবেন না ইনশাআল্লাহ্।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
©ziacyberforce.com
themesba-lates1749691102