ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তার বক্তব্যে স্থান পাবে। তাছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ডাচ্ প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্পর্কিত হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইড’র প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক হবে।
ইতালির প্রেসিডেন্ট, কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে। এছাড়াও, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। তৌহিদ হোসেন বলেন, এ কথা বলার অবকাশ রাখে না যে, প্রধান উপদেষ্টার পরিচিতি এবং সুনাম বিশ্বব্যাপী। এ কারণে অনেকগুলো বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা তার সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও সভায় অংশগ্রহণের জন্যও অনুরোধ এসেছে। যেহেতু তিনি মাত্র তিনদিন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করবেন, সেহেতু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সবার অনুরোধ রক্ষা করা বেশ কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন অধ্যায়: এদিকে পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের উদাহরণ হিসেবে ইউনূস-বাইডেন বৈঠককে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বলা হচ্ছে- এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি। স্মরণ করা যায়, সমপ্রতি ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জগুলো বর্ণনা করেছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, তার প্রশাসন অর্থনৈতিক ‘পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও পুনরায় চালু’ করতে, আর্থিক খাত, বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সব বলেন।
মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।