জিয়া সাইবার ফোর্স নিয়ে ষড়যন্ত্র!
প্রিয় সহযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ, শুভাকাঙ্ক্ষী তথা সমস্ত জাতীয়তাবাদী বন্ধুগন,
আপনারা অবগত রয়েছেন যে- জাতীয়তাবাদী অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে, জিয়া সাইবার ফোর্স দীর্ঘদিন কাজ করে আসছে আপনাদের সাথে।
দেশ, দল, জিয়া পরিবার এবং জাতীয়তাবাদ এই বিষয় গুলোয় আমরা সদা সর্বদা আপোষহীন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি।
আমাদের কার্যক্রম সকলকে সমানভাবে মুগ্ধ করতে পেরেছে এমনটি আমরা দাবি করিনা। কিন্তু আমাদের সক্ষমতা থেকে চেষ্টার কমতিও ছিল না কখনোই।
এই সংগঠনটি প্রতিষ্টা করার সময় ( ২০১৫ সালে) জনাব সামির রায়হান, ফাইজাল খান, মির্জাসাব কাউসার রাইয়ান, সাজিন মাহমুদ, আমি বিদ্রোহীদের সম্মিলিত ভুমিকা ছিল যা আমরা স্বীকার করি। এমনকি নূর আলমের দেয়া নাম জিয়া সাইবার ফোর্স আজকের বহুল আলোচিত প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী অনলাইন সংগঠন। তারপর এই সংগঠনে অনেক মেধাবীরা যুক্ত হয়েছিলেন এবং কেউ কেউ চলেও গেছেন রাজনীতি ও দেশ রক্ষার দ্বায়িত্ব থেকে।
এই সংগঠনের প্রথম সভাপতি ছিলেন পারভেজ আহমেদ এবং প্রথম প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন রেজওয়ানুল হক শোভন। তারপর ওয়াহিদ উন নবী। ফাইজাল খান চেয়ারম্যান এবং কে এম হারুন অর রশিদ মহাসচিব। এভাবে চলার এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে সকল জাতীয়তাবাদীদের উপর হাসিনার নির্যাতনের স্টিমরোলার নেমে আসে।সাথে সাথে ফাইজাল খান আত্মগোপনে চলে যান।
নেতৃত্ব দিতে থাকেন জুল আফরোজ ও কে এম হারুন অর রশিদ সহ আরমান, তিতাস, রনি, আশিক, রায়হান, আলফাজ, মুসা, ইকবাল, সবুজ পাশা প্রমুখ।
এক পর্যায়ে কারও কারও ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখা গেলে মতভেদ দেখা দিলে ওয়াহিদ উন নবী জিয়া সাইবার ফোর্স এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বলেন। তখন তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’কে নিয়ে নানান নোংরামি পোস্ট দিয়ে তা সকল সদস্যদের কপি করে অনলাইনে প্রচার করতে বলতেন। কিন্তু আমরা তা করিনি, কেননা আমরা আমাদের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে রাজি হইনি।
ওয়াহিদ উন নবী বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহনা, নেতা তাবিথ আওয়াল, মীর হেলাল সহ সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেইসবুকে নোংরা পোস্ট দিয়েছেন তা আমরা জানি।
এমতাবস্থায় জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের ভোট ও মতামতে ওয়াহিদ উন নবী সহ কয়েকজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনের এমন ক্রান্তিলগ্নে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অব. ডক্টর মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ভুইয়া’কে সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সরাসরি মতামতের ভিত্তিতে প্রধান সমন্বয়কের দ্বায়িত্বে আনা হয়। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় তিনি এই দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন বিগত ৫ আগষ্ট তারিখে হাসিনা পালিয়ে যাবার পরে থেকে ওয়াহিদ উন নবী গংরা আবারও সক্রিয় হয়ে নানাভাবে মিথ্যাচার ও অনবরত উস্কানিমূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছে।
বিশেষ করে Zia Cyber Force (ZCF) এর প্রধান উপদেষ্টার দলীয় পদ স্থগিত হবার পরে তাদের বাড়বাড়ন্ত আরও বেশি জোরদার হয়েছে। এমনকি তারা আমাদের সবজ্ঞঠনের নামে একটি ভুয়া, অবৈধ সংগঠন বানিয়ে সেই ভুয়া সংগঠনএকটি অবৈধ কমিটি গঠন করে তা অনলাইনে প্রচার করেছে ও প্রচারণা চালাচ্ছে।
সুতরাং আপনারা কেউই তাদের ভুয়া সংগঠনের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হবেন না। আপনার ৫ আগষ্ট তারিখের পরে যারা বিএনপিকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে চাইছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে সরাসরি বর্জন করুন।
জিয়া সাইবার ফোর্স সংগঠন বরাবরের মতো বর্তমানেও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করেছে। বর্তমানে গঠিত কমিটির সভাপতি কে এম হারুন অর রশিদ,সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলফাজ দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল তালুকদার রবি।
তাছাড়া উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছেন
জুলফিকার আলি মনা, শেখ রবিউল আলম রবি ( ধানমন্ডি, ঢাকা ১০) এবং প্রধান উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।
প্রধান সমন্বয়ক, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ডক্টর মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া।
উক্ত নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে জিয়া সাইবার ফোর্স অন-লাইন থেকে রাজপথেও ভূমিকা রেখেছে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর সকল কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে।এ নিয়ে আগামীতে আরও লিখা প্রকাশ করা হবে।ইনশাআল্লাহ্