জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তাদের দুজনের মধ্যে কোন বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকজন ব্যক্তি ও সূত্রের বরাতে ভারতের সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চলতি মাসে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়েছিল।
ভারতীয় কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে তা দূর করতে সাহায্য করবে এই আশায় ঢাকা এই বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহী।
radhuni
আরও পড়ুন
শুক্রবার চালু হচ্ছে মেট্রোর কাজীপাড়া স্টেশন
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এই ধরনের বৈঠক ভারতের এজেন্ডার অংশ নয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে মোদির তিন দিনের সফর ঠাসা শিডিউলে পূর্ণ থাকবে। মোদি আগামী ২১ সেপ্টেম্বরে ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে কোয়াডের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিবেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মোদির ভাষণ দেওয়ার কথা আছে।
এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিউইয়র্কে সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মোদি কিছু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে কোনো বৈঠক মোদির শিডিউলে নেই।
এ ছাড়া হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্য এবং ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের প্রায় প্রতিদিনের মন্তব্য ভারতের সমালোচনা নয়াদিল্লির ভালো লাগেনি।
অবশ্য নয়াদিল্লি বলেছে, হাসিনাকে স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে আসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। হাসিনা ভারতে অজ্ঞাত স্থানে রয়েছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনার প্রত্যর্পণের নিয়ে সম্ভাব্য বাংলাদেশি অনুরোধের বিষয়েও কথা বলতে অস্বীকার করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আপাতত বৈঠক করতে চাচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের মতে, এখন যদি ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদিকে সরাসরি বৈঠক করতে হয় তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারেও আলোচনা করতে হবে। আর মোদি এখন হাসিনাকে নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না।