সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তাকে যুক্তরাষ্ট্র অথবা যুক্তরাজ্যে নেয়া হতে পারে। সেখানে তার লিভার প্রতিস্থাপনসহ জটিল চিকিৎসাগুলো করা হবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যুক্তরাজ্যে নেয়া হলে ৮ থেকে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজন ১৮ থেকে ২১ ঘণ্টা ফ্লাইং আওয়ার। কাজেই এ যাত্রার জন্য তার শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, বেশকিছু জটিল চিকিৎসা করাতে অনেকটা সময় তাকে বিদেশে থাকতে হবে। সেখানে তার লিভার প্রতিস্থাপনসহ জটিল চিকিৎসাগুলো করা হবে। তবে বিমানে লম্বা সময় ভ্রমণের মতো উপযুক্ত শারীরিক সুস্থতা না থাকায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত তিন বছরে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও শেখ হাসিনা সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিনই খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই তার বিদেশে চিকিৎসা করার উদ্যোগ নেয়া শুরু করে পরিবার।