কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রাইমারি স্কুলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়েরি কাউন্টিতে ওই প্রাইমারি স্কুলে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তার কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আগুনে দগ্ধ অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির নিয়েরি অঞ্চলের হিলসাইড এন্দারাশা একাডেমিতে স্থানীয় সময় রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় অন্তত ১২ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। তদন্তে কারও দায় পেলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, আগুন লাগার সময় ছাত্রাবাসে ১৫০ জনেরও বেশি ছাত্র অবস্থান করছিল। পুড়ে যাওয়ায় উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোকে চেনা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে একটি তদন্ত দল মোতায়েন করা হয়েছে।
সিটিজেন টিভি নেটওয়ার্কের একজন সাংবাদিক জানান, স্কুলের বেশিরভাগ ভবন কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
কেনিয়া রেডক্রস জানায়, এ ঘটনার পর স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। তাছাড়া, স্কুলে একটি ট্রেসিং ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, দেশটির রাজধানী নাইরোবি থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে নাইরি শহরের কাছে হিলসাইড এন্দরাশা একাডেমিটি অবস্থিত। এটি একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী।
প্রসঙ্গত, কেনিয়ার বোর্ডিং স্কুলে এর আগেও একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে নাইরোবির মোই গার্লস হাই স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন শিক্ষার্থী মারা যান।
২০ বছর আগে নাইরোবির দক্ষিণ-পূর্বে মাচাকোস কাউন্টির একটি স্কুলে সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৬৭ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।