বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে একটি কঠিন পরীক্ষার নির্বাচন। তাই এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা জনগণের আস্থা নষ্ট করে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার দ্বিতীয় দিনে রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা ২০০৭ সাল থেকে বিরোধী দলের অবস্থানে আছি। আমাদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি কিছু নেতাকর্মী খুবই উৎফুল্ল হয়ে আছেন। তারা মনে করছেন হাসিনা তো নাই আমরাই এখন ক্ষমতায় আছি। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনি ক্ষমতায় ছিলেন না এবং এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় নেই। যেই মুহূর্তে আমি বক্তব্য রাখছি এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা বিরোধী দলে আছি, আগামীকালও থাকবো। যেহেতু বিরোধী দলে আমরা একা তাই জনগণই আমাদের শক্তি। তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
বিএনপি’র এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা যেই স্বপ্নে বিভোর আছেন তা থেকে সরে এসে দয়া করে বিরোধী দলের মঞ্চে এসে দাড়ান। জনগণের আস্থা কতটুকো অর্জন করতে পেরেছেন সেটি নিজেরাই চিন্তা করেন। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। তারা অনেক কিছু মনে রাখে। আপনাদের চলা ফেরা-কথা বলায় পরিবর্তন আনতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, ৫ তারিখের পর দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে নিজেদের পরিবর্তন না করতে পারি তাহলে এত বছর অত্যাচার নির্যাতন যে সহ্য করেছি তা বৃথা হয়ে যাবে। স্বৈরাচার যখন ছিল তখন তারা দৃশ্যমান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল। আমরা জানতাম তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কি ব্যবস্থা নিতে হবে। অদৃশ্য প্রতিপক্ষ আশেপাশেই রয়েছে তাদের বিষয়ে চোখ কান খোলা রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগীতা পেলেই দলকে জপণগণের আস্থা পেতে সহজ হবে। বিএনপির সকল শক্তির উৎস তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ সময় তার নির্দেশনাসমূহ গ্রামের শেষ কর্মী পর্যন্ত পৌছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশনাও দেন তিনি তিনি।