শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে পালানো ছাড়া বীরত্বের কিছু দেখিনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত রিকশাচালক মোহাম্মদ কামালের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এরআগে কামালের বাসভবনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থ সহায়তা প্রদান করেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়ে কত কথাই তারা বলছেন। ৭৫ এর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচ বছর তিনি বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। তিনি তার পরিবারের যে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে এক বছর পরেই কিংবা ৬ মাস পরে দেশে আসতে পারতেন। কিন্তু তিনি আসেননি। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ে তিনি দেশে ফিরতে পেরেছিলেন। দেশে ফিরেই তিনি ষড়যন্ত্র চক্রান্ত শুরু করেছিলেন। তিনি দেশে ফেরার ঠিক ১৩ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছেন তার আত্মীয়-স্বজনসহ। আজকে যারা এখন আড়ালে আবডালে শেখ হাসিনার জন্য অশ্রুপাত করছেন, তাদের মনে রাখা উচিত তিনি হেলিকপ্টার দিয়ে নিজে পালিয়েছেন তার বোনকে নিয়ে। তার আত্মীয়-স্বজন সব পালিয়েছেন।
আর আপনারা যারা নেতাকর্মী এই ১৭-১৮ বছর ধরে গণতন্ত্র-কামী মানুষ প্রতিবাদী মানুষের উপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পোশাক পরে বা তাদের আশ্রয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ হয়ে কত যে নিপীড়ন-নির্যাতন করেছেন, কত যে রক্তাক্ত করেছেন-তার কোন শেষ নেই। আর আজকে তার জন্য মায়া কান্না করছেন।
রিজভী বলেন, আন্দোলন যখন বিজয়ের মুহূর্তে ঠিক সেই সময় রিকশাচালক কামালসহ আটজন পৃথিবী থেকে চলে গেছে। এরা গণতন্ত্রের বিজয়পুত্র। এরা গণতন্ত্রের এক অনন্য অসাধারণ সারথি, এদের চালিত রথেই গণতন্ত্রের পতাকা উড়েছে।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, ডিইউজের সহসভাপতি রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।