ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন স্বৈরশাসক জুলুমবাজ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তার অন্য কোনো দেশে যাওয়ার কথা থাকলেও আপাতত তিনি ভারতেই থাকছেন।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি নিয়ে আবারও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে হাসিনার দাবিকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। এর আগে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে। হোয়াইট হাউসের পর স্টেট ডিপার্টমেন্টও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়েছে। এক সাংবাদিক বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে হাসিনার পতনে ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। যেখানে তাকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? জবাবে প্যাটেল বলেন, এটা হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল এমন কোনো ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা সম্প্রতি সপ্তাহগুলোতে প্রচুর বিভ্রান্তি দেখেছি। এক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল ইকোসিস্টেম জুড়ে তথ্যের অখণ্ডতা জোরদার করতে প্রবলভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অংশীদারদের সাথে আমরা কাজ করব।
৫ আগস্ট এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে তিনি ক্ষমতা ও দেশত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি দিল্লিত রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। দেশত্যাগের পর যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও হাসিনাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। যার প্রধান বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ী ব্যক্তি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ইতোমধ্যেই দেশ পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেছেন।