বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাককারী গ্রুপ লাজারাস এখনও দক্ষিণ এশিয়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ও মাদক পাচারকারীদের মধ্যে সক্রিয়। তারা এসব অপকর্ম করে যে অর্থ পাচ্ছে তা ভাগাভাগি করছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এসব অর্থ ভাগাভাগি হচ্ছে ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি বিনিময়ের স্থানগুলোতে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক অফিস (ইউএনওডিসি) বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছে, তারা মেকং এলাকায় এমন বেশ কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মধ্যে আছে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস ও কম্বোডিয়া। ইউএনওডিসি বলেছে, তারা কেস ইনফর্মেশন এবং ব্লকচেইন ডাটা বিশ্লেষণ করে এসব কর্মকাণ্ড শনাক্ত করেছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের জেনেভায় উত্তর কোরিয়ান মিশনের একজন ব্যক্তির কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি নাম না জানিয়ে বলেন, বিষয়টি জানেন না। তিনি আরও বলেন, এর আগে লাজারাসকে নিয়ে যেসব রিপোর্ট হয়েছে তার সবটাই জল্পনা এবং মিথ্যা তথ্য।
তারা উচ্চ পর্যায়ের কিছু সাইবার হামলা, মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা যেসব অর্থ চুরি করে নেয় তা হলো পিয়ংইয়ংয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থের উৎস এবং তাদের অস্ত্র বিষয়ক কর্মসূচির উৎস। প্রতিবেদনে ফিলিপাইনে লাইসেন্স আছে এমন ক্যাসিনো এবং জাঙ্কেট অপারেটরদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে যাতায়াত আছে ধনী ব্যক্তিদের। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাজারাস বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে সাইবার হামলা চালিয়ে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার করে। এই পাচারে তাদেরকে সহায়তা করে ওইসব ক্যাসিনো ও জাঙ্কেট। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইউএনওডিসি প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো কারেন্সির বিস্তার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাংগঠনিক অপরাধ চক্রগুলোকে বিপুল শক্তি যুগিয়েছে।