বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসেবে সরকার নাশকতা ও জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছে। জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য একজন ডিআইজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পূর্বনির্ধারিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। এ নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে তুলে নিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের দিয়ে জঙ্গি নাটক মঞ্চায়ন হতে পারে।
পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বকে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের কোনো নাটককে বিশ্বাস করবেন না। একতরফা সাজানো ডামি নির্বাচন নিয়ে স্বোচ্চার হোন।এ দেশের জনগণের একান্ত চাওয়া গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রতিদিনই পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করছে আওয়ামী লীগ, আর নাম দিচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। কিন্তু ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের মতো যেখানেই নাশকতা হয়েছে সেখানে ধরা পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যখন নাশকতা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম দেওয়া হয়েছিল তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কয়েকজন বলেছিল ‘ঘটনা ঘটাই আমরা, আর নাম হয় বিএনপির’। এগুলোর তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
তিনি আরও বলেন, মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন সিট বণ্টনের তালিকায় সীলমোহর দেওয়ার জন্য একটি একতরফা নির্বাচনের নামে নাটকের আয়োজন করেছে। এই নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনারদের কথাবার্তা-আচার-আচরণ রীতিমতো হাস্যকর। গণভবনের সুতোয় পুতলের মতো নাচছে ইসি। তারা প্রায়ই বিএনপিকেও হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
আদালত এখন আওয়ামী পাড়ায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসার আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত। সেই আদালত এখন আওয়ামী খেলাঘরে পরিণত হয়েছে। এটা এই জাতির জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে রিজভী আরও বলেন, আপনাদের নেতা ওবায়দুল কাদের আগেই ঘোষণা করেছেন, ‘১৮৯৬ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনের ফাইনাল খেলায় অংশ নিচ্ছে। ৭০ শতাংশ মানুষ ভোট দেবে।’ ওবায়দুল কাদের জানে কত শতাংশ ভোট কাস্ট করবে, তাও তারা গণভবনে বসে ঠিক করে রেখেছেন। আপনাদের কাজ হলো ঘোষণা করা। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই আরেকটি পূর্ব নিধারিত ফল ঘোষণার এসব নাটক বাদ দিয়ে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন।