ভদ্রমহিলা মাগরীবের ওজু করছিলেন। বাড়িতে উনি এবং উনার পুত্রবধূ ছাড়া গত একমাস যাবত আর কেউ নাই।
কিভাবে থাকবে?
উনার এক ছেলেকে বছর কয়েক আগে আ:লীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।
আরেক ছেলে আগে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলো, বর্তমানে আমাদের কৃষকদলের সাথে জড়িত।
বলছিলাম মিরসরাই উপজেলা কৃষকদলের একনিষ্ঠ যোদ্ধা রাকিফুল ইসলাম রাকিফের কথা। যাকে মাস দুয়েক আগে পুলিশ তুলে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে।
রাকিফের কান্নাজড়িত বর্ণনা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।
আজকে রাকিফকে ধরতে আসে পুলিশ ওদের বাড়িতে মাগরিবের সময়। ওর মা ওজু করছিলো। পুলিশ দরজায় নক করে রাকিফের সন্ধান চায়। খালাম্মা জানায় ছেলে তো বাড়িতে নাই।
পুলিশ প্রায় ৮০ বছরের বয়োবৃদ্ধ রাকিফের আম্মার হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ফেলে। ভদ্রমহিলা এসব দেখে কান্না করে দেয়, আকুতি জানায় না নেয়ার জন্য।
পুলিশের এতে মন গলে না। তারা রাকিফের আম্মাকে টেনেহিছড়ে নিতে গেলে ভদ্রমহিলা সাথেসাথে স্ট্রোক করেন। বমি করতে শুরু করেন।
পুলিশ এই অবস্থায় রাকিফের মাকে মিরসরাই একটি হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে চলে আসে।
আমরা চেষ্টা করছি এই প্রতিকূল সময়েও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে।
কিন্তু কেউ কী জানাবেন এ কোন বাংলাদেশ এরা তৈরি করেছে?
রাজনৈতিক কর্মীদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান কেন প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে?
এসবের দায় কেউ এড়াতে পারবেন না। সব কিছুর হিসাব নেয়া হবে।
হিসাব নেয়া হবে প্রতি ফোঁটা রক্তের, প্রতি ফোঁটা চোখের পানির।ইন-শা-আল্লাহ।।
শহিদুল ইসলাম খান বাবুল
সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।