ভিডিও দেখুন ইউটিউব লিংক-
https://youtu.be/ea5NP8z11Ms?si=EkMttdQSYKS8ZeFd
এই ব্যক্তির নাম আবির হাসান তানিম ঢাকা মহানগর উত্তর ছাএলীগের সহ সভাপতি তিনি উচ্চ শিক্ষা নিতে কানাডায় গিয়েছিলেন।ট্রিনেটি ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ২০১৮সালে graduation শেষ করেন। তানিম কানাডায় পড়াশোনা করলেও দেশের রাজনীতিতে এখন ও সক্রিয়। দেশের কর্মসূচিতে অংশ নিতে তাকে প্রায়ই বাংলাদেশে দেখা যেত।অনুসন্ধান বলছে ২০২২ সালের ২৫ শে এপ্রিল canscolt রোডের ১৭ নং বাড়িটি কিনেন তানিম।
মালিকানায় রয়েছে তার স্ত্রী শর্মিলা সিজানার নামও বাড়িটি কিনা হয় ১৫লাখ ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলারে যা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় সাড়ে তেড় কোটি। টরেন্টোর conscolt রোডের সেই বাড়িটির সরেজমিনে, খোঁজ নিয়েছেন সহকর্মী আব্দুল্লাহ আল ইমরান তিনি বলেন এখানকার যে ল্যান্ড রেজিষ্ট্রি অফিস সেখানে যোগাযোগ করি এবং সেখান থেকে রেজিষ্ট্রি দলিল collect করি এবং যে ঠিকানা দেওয়া হয় এটা টরেন্টো থেকে প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে স্কাব্রো নামের একটি জায়গা সেখানকার একটি সড়কের একটি বাড়ি। এই বাড়িটিদুজন ব্যক্তি মিলে কিনেছেন একজনের নাম আবির হাসান তানিম ও শর্মিলা সিজানা। বাড়িটি কিভাবে কিনা হল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইমরান আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন সেই তথ্যে বলা হয় এই বাড়িটি কিনতে প্রায় খরচ হয় ১৫ লাখ ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলার। বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫ কোটির মতো হবে।তিনি আরও বলেন এখানে দলিলে দেখা যায় এই বাড়িটি কিনতে কোনো প্রকার ব্যাংক লোন নেয়া হয়নি।বাড়িটি কেনা হয় এককালীন ক্যাশ টাকা দিয়ে।
প্রশ্ন হলো একজন ছাএনেতা কোন প্রয়োজনে কানাডায় নিরাপদ আশ্রয় গড়তে গেলেন এবং ছাত্র হয়েও তিনি এত টাকা পেলেন কোথায়। আবির হাসান তানিমের দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই।
তিনি কোথা থেকে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেলেন যে পড়তে গিয়ে বাড়ি কিনে ফেললেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বাবা সংসদ সদস্য হাবিব হাসান ২০২০ সালের উপনির্বাচনে ঢাকার ১৮ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।এমপি পুএ হওয়ার গুণেই তিনি কানাডায় বাড়ি কিনেছেন। এই ব্যাপারে কথা হয় তানিমের সাথে ও কথা হয় তার বাবা সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের সাথেও কিন্তু তারা কেউ বিষয়টি শিকার করেনি।অথচ কানাডায় কেনা সেই বাড়িটির সরজমিনে, খোঁজ নিয়েছেন সহকর্মী আব্দুল্লাহ আল ইমরান। সেখানে গিয়ে জানা গেছে আবির হাসান তানিম সেই বাড়িটিতে থাকেন না বাড়িটি বাড়া দিয়ে রেখেছেন একটি আফগান পরিবারের কাছে। হাবিব হাসানের প্রতিশ্রুতি ছিল নির্বাচিত হলে দলমত নির্বিশেষে কাজ করবেন। স্থানীয়দের অভিযোগ নির্বাচনের পরে কথার বিপরীত কাজ করেন এমপি। ক্ষমতার জোরে জায়গা দখল চাঁদাবাজি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণ এমনকি দলীয় হামলা মামলা করে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে হাবিব হাসানের উপর। তার জমি দখলের কিছু নমুনা ও দেখা যায়। আতাউর রহমান তুরাগ থানার তৎকালীন হরিরামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য তৎকালীন জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই আয়োজন করতে গিয়ে চোখে পড়ে এমপি হাবিব হাসানের জমি দখল। শুধু জমি দখলে থামে থাকেননি যুবলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ও গাড়ি পোড়ানোর ৩ টি মামলা দেওয়া হয় এবং তাকে বিএনপি জামায়াত বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়।সরকার দলীয় হলেও একজন যেভাবে নাজেহাল সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে এমপি হাবিব কী ধরনের আচরণ করেন তা বলা বাহুল্য। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই রমজান মিয়ার সেই জমি অন্যের কাছা বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর খোরশেদ আলম তার জমিতে পাও ফেলতে পারেন না।জমি দখলে আইন আর ক্ষমতার বেরাজালে কত জনের ভাগ্যে বিপর্যয় হয়েছে তা বলা বাহুল্য। তবে সেই সংখ্যাটি অনেক। সুশান্ত কুমার বসু ভুক্তভোগী একটি পরিবারের আইনজীবী তার অভিযোগ মামলা জিতলেও তার মক্কেলরা হেরে গেছেন এমপির ক্ষমতার কাছে।
সংসদ সদস্য হাবিব হাসান শুধু দখলদারীতে থেমে থাকেনি। স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজ দলেরই প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে মামলা হামলা দিয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে তার দেওয়া হলফনামা এখানে তিনি যে সম্পদের তথ্য দিয়েছেন সেটা কতটা বাস্তবতার সাথে মিল কতটুকু তা মিলিয়ে দেখা হয়। বিমানবন্দরের বাউনিয়া এলাকা এখান থেকে শুরু করে উত্তরা ১৭ নং সেক্টর হতে লক্ষী সিটি ও হাবিব সিটি প্রায় ১১০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে প্রকল্প ২ টি অথচ হলফনামা অকৃষি জমি মাত্র ১৫০ শতাংশ। টিম সার্চলাইটের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে আইনজীবী সুশান্তের মক্কেলের মতো আরও আরও অনেকের জমি গিলে ফেলেছে এই প্রকল্প ২ টি।
সংসদ সদস্য হাবিব হাসান সরকার দলীয় রাজনীতিবিদ প্রয়াত সংসদ সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুনের শূন্য আসনের এমপি তিনি। অনুসন্ধান বলছে সাহারা খাতুনের সাথে যারা রাজনীতি করতেন তাদের বেশিরভাগ মুলত এমপির বিরাটভাজন হয়েছেন কেউ রাজনীতি ছেড়ে চলে গেছে কেউ ভয়ে কথা বলছেন না।
তুরাগ থানার যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মুহাম্মদ সোহেল রানা তার অপরাধ হাবিব হাসানের এক স্বজনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের নূর হোসেন ও এমপির রোশানলে পড়েছেন।শুধু অন্য নেতার অনুসারী হওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে নূর হোসেনকে তার মতো ভুক্তভোগী খিলখেত থানার আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন মিয়া ও।এমপি হাবিব হাসান চ্যালেজ্ঞ ছুড়ে দিলেও বাস্তবতা তার বিপরীত এমনকি শিক্ষাগত যোগ্যতায় ও হলফনামায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন এমপি।তার প্রথম হলফনামাটি২০১৫সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময় ৯ম শ্রেণী পাশের কথা বলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এমপি উপনির্বাচনের সময় s.s.c পাশের দাবি করেন। সেখানে পাশের সাল হলো ১৯৮১।হাবিব হাসান আগের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম লিখেছেন নাকি পরের টিতে মিথ্যা তথ্য দিলেন। রাজনীতি এখন শুধু ক্ষমতাশীল নয় ভাগ্য উন্নয়নের হাতিয়ার। তবে বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছেন সেটি আমাদের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসা ২য় ঘটনা যার সর্বশেষ এমপি হাবিব হাসান ও তার পরিবারের।
এ প্রতিবেদন করতে গিয়ে হাবিব হাসান সম্পর্কে আরও জানা যায়।
এমপি জনাব হাবিব হাসানের ছোট ভাই আলাউদ্দিন আল সোহেল উত্তরা এলাকায় গড়ে তুলেছে ত্রাসের রাজত্ব।এমপির আশে পাশের এলাকা গুলো তার ভাইয়ের ভয়ে কাপে কেউ অভিযোগ করার সাহস দেখায় না,বলে থানায় তাদের নামে কোন মামলা বা ডায়েরিও নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,জমি দখল,রাজউকের প্লট দখল থেকে শুরু করে রিকশা অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি চলে অহরহ।এগুলো নিয়ে কথা বলার যেনো কেউ নেই আর বলবেই কে যারা বলবে তারাই তো এর সাথে জড়িত।অবশ্য আলাউদ্দিন আল সোহেল নিজে সশরীরে এসবে জড়িত না থাকলেও তার চারপাশে রয়েছে গুন্ডা বাহিনী ও তাদের পরিচালনা করার জন্য আলাদা নেতা যাদের নিদর্শনায় সকল কাজ পরিচালিত হয়।এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য নাম হচ্ছে বরকত উল্লাহ, মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম লিটন,বরকত উল্লাহ্ অন্যতম।
আবার তাদের চাঁদা আদায় বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করারও ভাগ আছে কেউ অটোরিকশা থেকে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করে,কেউ মাস শেষে দখলকৃত প্লটে ভাড়া দেয়া দোকান থেকে চাঁদা তোলে,কেউ জমি-জমা বেদখল দখলের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখে।
উত্তরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে এই এমপি ভ্রাতা আলাউদ্দিন আল সোহেল।সরজমিন এ তার দখল করা প্লটের দোকানে গিয়ে দোকানদারদের কাছে জানতে চাইলে মুখ খুলেননি কেউ।পরে দোকানের সাইড বোর্ড দেখে কল দিলে তারা বলে প্রতিমাসে চাঁদা দিয়ে তারা দোকান বসিয়েছে।এ টাকা কে নিচ্ছে জানতে চাইলে বলেন-বরকত টাকা নিতে আসে আর বরকত এমপির ভাইয়ের ডান হাত।
মিঠন সরকার নামে বাউনিয়া এলাকার একজন বলেন, লিটন সেক্টরে রাজউকের প্লট জোর/জবর দখল কইরা দিয়া চাঁদাবাজি করে, খেলার মাঠে শিশিরস খেলতে গেলে টাকা দিতে হয়। পাশে আরেকজন বলে উঠে খেলার মাঠ ভাড়া দেয় তারা।
অটোরিকশায় চরে আসতে চালকদের কাছে জানতে চাইলে বলে স্যার চান্দা না দিলে গাড়ি চালাইতে দেয় না।প্রত্যেক মাসে দুই আড়াই হাজার টেকা (টাকা) চান্দা দেওন লাগে।এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু কইতে(বলতে) পারে না ডরায়(ভয় পায়)।
এক আওয়ামী লীগের নেতার সাথে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- এলাকা এখন সোহেল ভাইয়ের নিয়ন্ত্রণে তার কথার বাইরে কিছু করা মুশকিল,খোদ আওয়ামী লীগের নেতারাই তার কাছে জিম্মি।তিনি (সোহেল) সব জায়গা থেকেই চাঁদা নিয়ে থাকে।প্লট গুলো তার আওতাধীন সেখানকার দোকান পাটের ভাড়াও তার পকেটেই যায়।কতটি প্লট তার আওতায় আছে জানতে চাইলে বলেন প্রায় ৪০-৫০ টি প্লট আটকে দোকানপাট বসিয়েছে সোহেল বাহিনী।এলাকার ডিশ ব্যবসাও আলাউদ্দিন আল সোহেলের ভাগে।
উত্তরা যাত্রাবাড়ী এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন এলাকাবাসী তাদের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে এসব সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না।কিন্তু তাদের কুকর্মের খবর প্রধানমন্ত্রীব্দী কে পৌঁছবে।তাই আমরা এ অত্যাচার নিরবেই সইছি।তবে আমরা এ সন্ত্রাস চাঁদাবাজ দখলবাজদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই।
তথ্য সূত্র-বেগমপাড়া রিটার্নস___সার্চ_লাইট চ্যানেল ২৪ টিভি