আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপির প্রস্তুতি সভা থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকারের টঙ্গীর বাসভবন প্রাঙ্গণ থেকে এসব নেতাকর্মীদের আটক করা হয়।
সালাহ উদ্দিন সরকার জানান, ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীদের সাথে ঘরোয়া আলোচনা করছিলেন। সভা চলাকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও দিয়ে রাখে। এসময় পুলিশ তার বাড়ি ঘেরাও দিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শরাফত হোসেনসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাকেও গাড়িতে উঠানো হলেও অসুস্থতার কারণে পরে রেখে যায়।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু জানান, বুধবার মধ্য রাতে মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকারের নগরীর কাশিমপুরের বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ। এসময় পুলিশ বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। ঘটনার সময় শওকত হোসেন সরকার বাড়িতে ছিলেন না। এসব ধরপাকড় ও তল্লাশির ব্যাপারে জিএমপি পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য দেননি।
তবে গ্রেপ্তার বা আটকের সংখ্যা পরে জানানো হবে জানিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে অভিযান অব্যাহত আছে। আটককৃতদের সংখ্যা পরে ব্রিফ করে জানানো হবে।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার অভিযোগ করেন, ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যেন কোনো নেতাকর্মী না যেতে পারে সে জন্য পুলিশ ও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোকজন বিভিন্ন ভাবে নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে, না পেলে বাসায় গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহা সমাবেশে গাজীপুর থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেবে বলে তিনি জানান।