বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জানেন তার পতন এখন সময়ের ব্যাপার। এবং তিনি তার পতনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন প্র কাশ্যেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি জানি এবং বুজি যে কারণেই হোক তারা এখন আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। এবং তাদের কেনা কিছু গোলাম আছে তাদেরকে বসিয়ে এই জায়গা টা নিয়ে খেলবে সেটা আমি ভালোই বুঝতে পারছি”। আমার যখন রাজনীতির বিশ্লেষণ করতে যাই তখন অনেক কিছু অনুমান করতে পারি।কিন্তু রাষ্ট্রের যিনি প্রধান তিনি যখন তথ্য সবার মাঝে ছরিয়ে দিতে চায় তখন বুঝতে হবে তিনি এটি ভেবেই দিচ্ছেন। এবং আমাদের কাছে তার পতন যে অবধারিত তা তিনি বলে দিচ্ছেন ১৫ই আগষ্ট শোক দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন তাকে ক্ষমতা থেকে সরানো হলো একমাত্র উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই কারণেই তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা যখন এই বক্তব্য রাখেন তার একদিন আগে ১৪ই আগষ্ট বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীর সাথে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার ডিফেন্স মিনিস্টার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং তাদের এই বৈঠকের খবর বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের সঙ্গে আরমি ২০২৩ দিয়ে বোঝানো হয়েছে রাশিয়ার যে সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য তাদের যে কার্যক্রম হিসেবে এই বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা ও উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীর সাথে। তারেক সিদ্দিকী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহেনার স্বামীর ছোট ভাই। বাংলাদেশের যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় তার পেছন থেকে সব কলকাঠি নাড়েন বলে অভিযোগ আছে তার প্রধান হচ্ছে তারেক সিদ্দিকী। এবং তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও সামরিক বাহিনীকে কঠোর নজরদারির তে রাখেন।বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম বা পএিকাতে এই বিষয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমরা যখন কোনো গণতান্ত্রিক বিশ্বের কার্যক্রম দেখি সেখানে এই ধরনের মিনিস্টাররা যখন বাংলাদেশে যায় চারদিকে হট্রগোল হয়ে যায় যে কী জন্য আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টা। এবং তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে বৈঠক করেন। বাংলাদেশের সরকার ও আনুষ্ঠানিক ভাবে বৈঠক করেন কারন এটি গণতান্ত্রিক চর্চা।পুতিন শাসনব্যবস্থায় অর্থাৎ একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কারো কোন জবাবদিহিতা থাকে না।
এই যে ডেপুটি মিনিস্টার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বাংলাদেশের উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীর সাথে কী নিয়ে বৈঠক করেছেন এই বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি এবং এর জন্য অনেক গুলো প্রশ্নের জন্ম নেয়।আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এখানে এসেছেন বাংলাদেশের সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যে চলমান টানাপোড়ন এখানে আর একটি পক্ষ হিসেবে কাজ করার জন্য এসেছেন। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর উপর বাংলাদেশের সরকার বর্ষা রাখতে পারছে না এজন্য তারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে কীনা অথবা রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জন্য মিলিয়ন ডলার খরচ করে কোনো প্রতিরক্ষা নতুন সরঞ্জাম ক্রয়করার চিন্তা করছে কীনা এসব প্রশ্ন মানুষের মনে জমা হচ্ছে এর কোনো উত্তর নেই।১৪ আগষ্ট তারা যখন তারেক সিদ্দিকীর সঙ্গে বেঠকের ছবি ছেপেছে ঠিক তার একদিন পরে১৫ ই আগষ্ট Embassy of Russia in Bangladesh একটি টুইট বলা হয়েছে “The USA is intent on reformatting the existing system of inter state relations in the Asia pacific region as it deems fit.In fact,efforts to promote these” “Indo Pacific strategies are aimed at creating us led millitary and political association ” says president Putin.
13 ঘণ্টা পরে আর একটি টুইট করেছে Embassy of Russia সেখানে বলা হয়েছে যে আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ যে সামরিক সহযোগিতা আছে কয়েকটি দেশের মধ্যে যেমন,ভিয়েতনাম, মায়ানমার, মঙ্গোলীয়, লাওস, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশ।”We are common experience of struggle against colonial domination”, বলেছেন রাশিয়ার ডিফেন্স মিনিস্টার সার্জি সুইগো।
তাদের এই সন্মেলন থেকে পাকিস্তান বাদ পড়েছে। Embassy of Russia এর পর পর টুইট গুলোতে একটি হলো রাশিয়ার ডিফেন্স মিনিস্টার তাদের এই সন্মেলনে বাংলাদেশকে কী বলছে,পুতিন কী বলছে, এবং তারেক সিদ্দিকীর সাথে রাশিয়ার ডেপুটি মিনিস্টারের যে বৈঠক এই তিনটি সূত্র এক করে এর সাথে প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি বক্তব্য যোগ করা হলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা কারো কারো উদ্দেশ্য “।সব সূত্র একসাথে যোগ করলে এই সমীকরণটি টানা যায় যে বাংলাদেশে রাশিয়া যে সামরিক তৎপরতা বাড়াতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সেই তৎপরতায় স্পষ্ট ভাবে যোগ দিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ঘোষণা করছে রাশিয়ার পুতিনকে নিয়ে এবং তিনি বলেছেন মায়ানমার সহ অন্যদেরকে আক্রমণ করা হতে পারে। বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুব বেশি ভালো নয় রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে।
সেই মায়ানমারকে সাথে পেতে চাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সফরের কারণ যানা যাবে নানা রকম প্রশ্ন সৃষ্টি হবে।যেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রীকে বলে রেখেছে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।তিনি নিজেও জানেন নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি নেই।সুতরাং তাকে এই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পশ্চিমা চাপের বিপরীতে কীভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায় সেই উপায় খুঁজছেন।তিনি রাশিয়া মিলিটারিকে বাংলাদেশে আসার জন্য পথ সুগম করে দিচ্ছে কীনা এটি একটি প্রশ্ন।আরও প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ কী রাশিয়া থেকে আবারও কোনো সমরাস্ত্র ক্রয় করতে যাচ্ছে কীনা?
আমরা দেখেছিলাম ফ্লেমিং এর সাথে ২০১৮ সালে ইমরান সরকারের একটি বৈঠক হয়েছিল সেখানে আমরা দেখেছিলাম রাশিয়া পাকিস্তানের বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিবে।ফ্লেমিং ইমরানের সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন আমরা ইমরানের পরিণতি দেখেছি।ফ্লেমিং ইমরানের পতন ঠেকাতে পারেনি। শেখ হাসিনা কী জেনে শুনে এটা করছেন রাশিয়া সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণের নামে এদেশে প্রবেশ করাতে চাচ্ছেন।তিনি তার পরিণতি ভেবে এই কাজ গুলো করছে আমাদের ধীর বিশ্বাস।
বিশ্লেষণ-শাহেদ আলম
লিখেছেন-আফসানা মিম