আমাকে সন্তানতুল্য জ্ঞান করতেন যে মানুষটি সেই ডঃ এমাজউদ্দীন স্যারের মৃত্যুর তিন বছর হল। আমাকে কোনদিন “বাবো” ছাড়া ডাকেন নি, আমিও বাবো ডাকতাম। বাবোর জন্য সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি। অসম্ভব স্নেহ পেয়েছি এই মানুষটির কাছ থেকে। বিভিন্ন সময় রাগ করে বাবোর সাথে অনেক চিল্লাপাল্লাও করছি, স্মিত হেসে বাবো শুধু বলতেন, “বাবো তুমি এইবার শান্ত হও।”
বাবোর হাতে যে বইটি দেখা যাচ্ছে, সেটি বাবোর লেখা। লাষ্ট ফ্লাপে আমার নাম লিখে বাবো আমাকে সন্মানিত করে এই বইতে।
আজকে বাবো মৃত্যু দিবস। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ রাজনীতির প্রবক্তা, এবং একে তাত্ত্বিক রূপ দিয়েছেন প্রশ্ন সাপেক্ষে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী ডঃ এমাজউদ্দীন স্যার। বিএনপি কি দলীয় ভাবে এই মানুষ টিকে স্মরন করে? যদি না করেন তবে মনে রাখবেন আপনি এখন যত বড় নেতাই হোন না কেন চোখের আড়াল হলেই আপনি মুছে যাবেন, কারন এমাজ স্যারের মত মানুষকে যে দল যোগ্য সন্মান দেবে না, সে দলে কেউ সন্মান পাবে না।
আল্লাহ বাবোকে জান্নাত বাসী করুক।। অনেক কিছু লেখার আছে বাবো কে নিয়ে, ঠিক লিখব এক দিন।
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিও’ন” অর্থাৎ “আমরা আল্লাহর জন্যে এবং আমাদেরকে আল্লাহর দিকেই ফিরে যেতে হবে”
১. বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে। (Al Jumu’a: 8 )
২. তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর। (Ghaafir: 67)
৩. বলুন! তোমরা যদি মৃত্যু অথবা হত্যা থেকে পলায়ন কর, তবে এ পলায়ন তোমাদের কাজে আসবে না। তখন তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে। (Al-Ahzaab: 16)
৪. আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান। (Ar-Room: 40)
৪. জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমরা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (Al-Ankaboot: 57)
৫. যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরাম্বিত করতে পারবে না। (An-Nahl: 61)
৬. তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না। (An-Nisaa: 78)
৭. প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়। (Aali Imraan: 185)